ক্রেতাদের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন দোকানিরা

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এসময়ে চলাচলে থাকছে কঠোর  বিধি-নিষেধ। আবার লকডাউনের শুরুতেই আসছে রমজান। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামীকাল বুধবার অথবা পরশু বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে রোজা।

এই বিশেষ দুই কারণে কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। মাছ-মাংস, ছোলা-খেজুরের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, আলু, আদা ও বিভিন্ন মসলা বাড়তি পরিমাণে কিনতে দোকানে ভিড় ক্রেতাদের।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রোজার আগে কিছু পণ্যের বিক্রি বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে গতকাল থেকে ক্রেতাদের ভিড় বেশি বেড়েছে। অনেকে কঠোর লকডাউন আতঙ্কে বাড়তি পণ্য কিনছেন।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. আফজাল জাগোনিউজ২৪.কম কে বলেন, ‘সরকার এবার কঠোর লকডাউন দিয়েছে। ব্যাংকও বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে রোজাও চলে আসছে। কাল অথবা পরশু রোজা শুরু। এ কারণে মানুষের কেনাকাটা বেড়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে এবার গত বছরের মতো মানুষের মধ্যে ভয় নেই। কিন্তু সবকিছু বন্ধ করে দেয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আছে। লকডাউনের মধ্যে মানুষ বাইরে বের হতে পারবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। এ কারণেই হয়তো রোজার আগে অনেকে বাড়তি পণ্য কিনছেন।’

জাগোনিউজ২৪.কম এর সূত্র মতে মালিবাগ থেকে খিলগাঁও তালতলা বাজারে গিয়েও ক্রেতাদের বাড়তি ভিড় দেখা যায়। বাজারটি থেকে পণ্য কেনা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘৫ এপ্রিল থেকে সরকার যে লকডাউন দিয়েছিল তা নিয়ে অনেকেই হাসিঠাট্টা করছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। ব্যাংক পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমার জানামতে এর আগে কখনো এভাবে ব্যাংক বন্ধ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই সামনে কী হবে তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।’

তিনি বলেন, ‘কখন কী হয় বলা মুশকিল। কিন্তু বাঁচতে হলে খাওয়ার দরকার আছে। আবার রোজা শুরু হচ্ছে। রোজার জন্য কিছু পণ্য বাড়তি কেনা লাগে। সব মিলিয়ে অনন্ত ১৫ দিন যাতে চলে তেমন কিছু প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেছি।’