বিইআরসি আইন বাস্তবায়ন জরুরি (নাগরিক সভা-১, শেষ পর্ব)

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন, বিইআরসি আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি, বিইআরসি আইন পরিবরর্তন, ভাড়া বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং সুশাসন সংকট শিরোনামে সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর আয়োজনে অনলাইন নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত  হয়। অনলাইন সভাটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ক্যাবের মুখমাত্র ভোক্তাকণ্ঠ। অনলাইন নাগরিক সভায় দেশের সর্বস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা অংশ নেয়। অনলাইন সভা সঞ্চালনা ও প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ছিলেন ক্যাবের সংগঠক সৈয়দ মিজানুর রহমান। অনলাইন নাগরিক সভার বক্তাদের আলোচনার শেষ পর্ব  প্রকাশ করা হলো।

এডভোকেট সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান

নির্বাহী, বেলা

গত কয়েক বছর যাবৎই তো আমরা জ্বালানি খাতের সাথে নাগরিক অধিকারের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছি। আমাদের মৌলিক অধিকারের প্রত্যেকটার সাথে আমাদের সংবিধানের সাম্য এবং সমতার যে কথাগুলো বলা হয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটার সাথেই জ্বালানি খাতে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ জবাবদিহিতার প্রশ্নটা জড়িত। আপনি একজন কৃষক হিসাবে যখন কৃষি উৎপাদন করেন, আপনি যখন বাসস্থানের একটা ইন্ডাস্ট্রি অপারেট করেন, আপনি যখন চিকিৎসার কথা বলেন, শিক্ষার কথা বলেন। কোন জায়গাতে জ্বালানিবিহীন, বিদ্যুৎবিহীন কোন মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হবে না বিশেষ করে আজ-কালের এই উন্নত দিনে। আমি এখানে কয়েকটা ছোট ছোট কথা বলে বিদায় নিয়ে যাব যেহেতু আমি এখানে অন্য একটি মিটিংয়ে এটেন্ড করছি। আমাদের মৌলিক অধিকারের সাথে সাম্য, সমতা ও আইনের চোখে সমান সুযোগ পাওয়া। এ সকল কিছুর অধিকারের সাথে আমাদের জ্বালানির অধিকারটা সংযুক্ত। আমরা যদি খেয়াল করে যেটা আপনারা প্রথমে বলছিলেন আসলে উচ্চ আদালতে গেলে তখন দু-একটা নির্দেশ আমরা পাই তাছাড়া আমরা যা বলি এই সেক্টরের স্বচ্ছতার জন্যে তা কোনোভাবেই প্রতিফলিত হয় না এবং সম্মান করা হয় না। উল্টো এমন কিছু আইনের মধ্যে আমাদেরকে ফেলে দেওয়া হয়েছে যে আইন গুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনরকম জবাবদিহিতা ছাড়া এই খাতকে পরিচালনা করা যায় সেটা নিশ্চিত করা। সেটা কি একটা গণতান্ত্রিক দেশে আজকের যুগের সম্ভব? সম্ভব হতে পারে বছর ৫এর জন্য। একটা এন্টারইং ফেজের এর জন্য সম্ভব হতে পারে।

কিন্তু আপনি তো একযুগের জন্য এটাই এরকম জবাবদিহিতাহীন রাখতে পারেন না। ফলে নাগরিকদের যে অধিকার গুলো সেগুলো একটা জবাবদিহিতাবিহীন আইনের এর মাধ্যমে অনেকটাই নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। এই জবাবদিহিতা মূলক আইনকে অন্য আইনের উপর প্রাধান্য দেয়ার ফলে অন্য আইনে যেখানে নাগরিকদের অধিকার গুলোর কথা বলা হয়েছে সেটার সাথে এই আইনের বিধানগুলো সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা উচ্চ আদালতে তখনি যাবো যখন আমাদের সরকারের কাছে আর কোন প্রতিকার থাকবে না। এখন সরকারের কাছে আমাদের প্রতিকার থাকবেন না কেন? সরকার যেই বিনিয়োগটা করে সে বিনিয়োগের ভার কিন্তু শেষ পর্যন্ত গিয়ে নাগরিকের কাঁধেই পরে। ।কিছুদিন আগে আমরা শুনলাম যে প্রতিটা নাগরিকের ২৫০০০ টাকা বিদেশি দেনা আছে, প্রত্যেককে দিতে হবে। আমি-আপনি হয়তো সহজেই দিয়ে দিতে পারব কিন্তু বাংলাদেশে এখনো ১২ কোটির উপরে মানুষ আছে যারা এই দেনা পরিশোধ করতে পারবেনা। তাদের কাজের উপর দেনা চেয়ে যে উন্নয়ন হচ্ছে সেখানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি। যদি অধিকারের কথা বলা হয় তাহলে বলবো জনগণের অংশগ্রহণ কিন্তু একটা বড় অধিকার বারবার মূল্যবৃদ্ধি জ্বালানি সংরক্ষণ এখন আবার শুনছি প্রচুর জ্বালানি উৎপাদিত হচ্ছে কিন্তু সরবরাহ করার উপায় নেই, ফলে আমাদের পকেট থেকে টাকা নিয়ে তারা প্রজেক্ট করার পরিকল্পনা করে থাকেন ক্যাপাসিটি চার্জ হিসাবে এই বিষয়ের জবাবদিহি এর উপর তো সরকার উঠবে না তো আমার মৌলিক অধিকার এর সাথে সম্পৃক্ত আমার মূলনীতি এবং সাম্য সহায়তা একটা ইন্টারনেটের জন্য একটা ব্যবস্থা নেয়া যায় কিন্তু ১ যোগ অথবা ১0 বছর আমরা কোন ভাবে রাখতে পারিনা কারণ জ্বালানি খাতকে আমাদের স্বচ্ছতার মধ্যে না আনলে এই বিষয়ের দায়ভার যে সাধারণ মানুষকে নিতে হবে না এইটার জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের ঈমান নিয়ে সমস্যা হচ্ছে আমাদের মূল্য নিয়ে সমস্যা আছে আমাদের প্রকল্প নিয়ে সমস্যা আছে আমাদের প্রকল্প নিয়োগ সমস্যা ছাড়াই সমস্যা গুলোর সমাধান তো আসলেই করতে হবে কিন্তু সঠিকভাবে কাজ না করলে এই বিষয়ের উপর দায়মুক্তি কি তারা হতে পারবে।

সরকার যদি সত্যিই গণতান্ত্রিক হয়ে থাকে জনস্বার্থ কে প্রাধান্য দিলেন জনগণকে প্রাধান্য দিতে হবে জনগণের কথা শুনতে হবে আর এই সোনার মাধ্যম যেখানে ব্যাহত হচ্ছে সেই মাধ্যমগুলোতে আইন গুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে এবং অনতিবিলম্বে তার সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে ।বিদ্যুৎ পাওয়ার যে মৌলিক অধিকার মানসম্মত বিদ্যুৎ পাওয়ার যে মৌলিক অধিকার রয়েছে সেটাকে নিশ্চিত করতে হবে আমরা অনেকে স্পিন এক্সপেন্সিভ প্রজেক্টর কথা না ভেবে সকল মানুষের কাছে যেতে পৌঁছে দেয়া যায় সেরকম প্রজেক্ট মাথায় রেখে অগ্রসর হলে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি কথা তাদের শুনতে হবে । যেখানে বিশ্ববাজারে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মূল্য কমে এসেছে এবং টেকনোলজি ও অনেক উন্নত সেজন্যেই প্রথাগত জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি কথা এখনই ভাবতে হবে যদি সত্যিই জ্বালানির অধিকার আদায় হয় তাহলে আমি জনগণের অধিকার এবং জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিব।

ডক্টর তুরিন আফরোজ

আইনজীবী

আলু, পেঁয়াজ, মরিচের বাজার না যে ফ্রী মার্কেট ইকোনমিতে একটা বাজার প্রাইসিং করতে হবে। সুতরাং টারিফ সেটিং এর ক্ষেত্রে বার্কের যে একটা ভ‚মিকা রয়েছে সেটি যদি না করতে পারে তাহলে বিরাট সমস্যা। খুবই দুঃখজনক যে টারিফ সেটিংতো করল ভালো কথা কিন্তু সেই করে দেওয়ার পরে সবাইকে সেটা যদি মানতে বাধ্য করানো না যায় তাহলে সেটিংসটা একটা প্রহসন ছাড়া আর কি হতে পারে। একটা দাম নির্ধারণ করা হলো কিন্তু লাইসেন্স ধারীরা সেটা মানছে না। সুতরাং এখানে বার্কের আসলে কি করা দরকার রিইনফোর্সমেন্ট এর জন্য? বার্কের কি ক্ষমতা রয়েছে বা তাদের ক্ষমতায়নের জায়গাটা কি হতে পারে? যদি আজকে আমরা ইনচেঞ্জ করতে চাই? সবাই নিশ্চয়ই টেকনিক্যাল সাইডে এবং অন্যান্য সাইডে কথা বলেছেন। আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে যে এইটা ইনফোর্স করবার ব্যাপারটি। যে সবই হলো আমরা নাকের বোতলে একটা নুরুল সেটা নিয়ে নেচে নেচে খুশি হয়ে যাচ্ছি তাহলে তো হবে না। আমাদেরকে সে কাজটি করতে হবে যেটি করা দরকার। সুতরাং সেখানটাতে আমাদের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই ইনফোর্সমেন্ট এর জায়গাটা খুব কঠিন করে মাথায় রাখতে হবে যে যা কিছুই হোক সেটা যাতে বার্ক ইনফোর্স করতে পারে এবং মার্কেট যাতে সেটি শুনতে পারে। মার্কেট যদি সেটা শুনতে বাধ্য না হয় তাহলে বার্কের থাকা আর না থাকা একই সমান এবং আমাদের এনার্জি সেক্টরের নিরাপত্তার যে কথা আমরা চিন্তা করছি এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন খাতে পরিচালিত হবে।

অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আমাদের প্রতিষ্ঠান নখ দাঁত কিছুই নেই আসলে নখ দাঁত কখন থাকেনা যখন কোন প্রতিষ্ঠান আসলে কাজ করে না অনেকেই বলছিলা ডিরেগুলেশন অনেকেই বলছে এটা মিস রেগুলেশন। আমি বলতে চাই এটা একটা পারপাস ফুলি রেগুলেশন । এই রেগুলেশন টাকে করছেন এটা সরকার করছেন আসলে সরকারতো রাষ্ট্রপরিচালনা করেন এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার দ্বারা পরিচালিত হয় আমরা যদি জাতীয় সংসদের দেখি তখন একটা বিষয় খুবই স্পষ্ট ব্যবসা আমলা একই সাথে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ তাদের একটা শক্তিশালী বন্ধন তৈরি হয়েছে । এরকম সময়ে কিছু রুল অফ ল এর কথা আমরা বলে থাকি এবং যথেষ্ট ল তৈরি তৈরি হয়। আমি দেখছিলাম 2008 সালের পর থেকে যে লো গুলা হয়েছে এবং বেশ কিছু খুবই গুরুত্বপূর্ণ আইন যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎ আইন যদি দেখে থাকেন বা এই ধরণের সম্পৃক্ত যে আইন গুলো রয়েছে তাহলে আপনারা দেখে থাকবেন একটা অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে যে অনুচ্ছেদের মধ্যে আমলাদের কে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছেকিন্তু অন্ততপক্ষে ১3টা আইনে আমি দেখেছি তারা যে সরল বিশ্বাসে কৃত কর্ম সেজন্য তাদের কোন দায়ভার নেই আর সেই জন্যেই জনগণ তাকে প্রশ্নের মুখে জবাবদিহিতায় আনতে পারবেন না এই যদি হয় রাষ্ট্রব্যবস্থা বা এই যদি হয় আইন ব্যবস্থা তাহলে আমরা যে রুল অফ ল এর কথা বললাম এটা তো একেবারে মিশ্রুলে বাইল।

তেমনি আমরাও দলীয় স্বার্থে সাদাকে সাদা বলি না কালোকে কালো বলিনা। এবং সেটারই একটা প্রকাশ এই আইনগুলোতে ঘটে থাকে। অনেকেই হয়তো আপনারা আইন এর সাথে ছিলেন সেখানে অনুচ্ছেদ 3৭ যেখানে ফ্লও অফ ইনফর্মেশন এ বলা হয়েছে ব্যক্তি এবং বিশেষ ব্যবসায় আপনি যদি ইনফর্মেশন কালেক্ট করতে চান তাহলে সেরকমই ইনফর্ম পারসন এর অনুমতি লাগবে। কারণ এখানে সরকার জনগণের সাথে প্রতিনিধিত্ব করে কিনা তার ওই মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু সে স্বচ্ছতা নাই বলেই সরকারের সাথে কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করে না । আবারও নতুন করে আইন হলেও এই বিষয়টা পরিবর্তন হবেনা কারণ হচ্ছে আমাদের জনগনের সাথে সরকারের সম্পৃক্ততা না থাকার ফলে সেই দুর্নীতিগ্রস্ত আমলারাই  দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের হাতে সখ্যতা গড়ে তুলে। এরকম বন্ধন এর কারণে জ্বালানি নিরাপত্তা কতটা অনিরাপত্তা তৈরি করেছে যার ফলে আমরা সবাই কিন্তু সংকটের মধ্যে পড়্ব। সেজন্যই আমাদের সকলকে জাতীয় স্বার্থ টাকে অন্ততপক্ষে বুঝা উচিত এবং সাদাকে সাদা বলা উচিত এবং কালোকে কালো বলাই উচিত। আর এভাবেই কিন্তু দলের উন্নতি হয় এবং জনগণের সাথে সম্পৃক্ত বৃদ্ধি হয় সুশাসন পাওয়া যায় ।

অধ্যাপক এম এম আকাশ

অর্থনীতি বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি যারা ভোগ করে তারা আসলে কি চায়? তারা সঠিক দাম চায় ন্যায্য দাম চায়। একটা ইন ইন্টারেস্ট রয়েছে যাচ্ছে তো লারেভল প্রাইস বা সহনশীল মূল্য তার সঙ্গে আরো দুটো ইন্টারেস্ট যোগ করা হয়েছে একটি হলো মান এবং আরেকটি হলো মাপ । এই তিনটা ইন্টারেস্ট যেখানে লুঙ্গিতো হবে সেখানেই ভোক্তাদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
প্রথমেই আসি মাপের কথায়, কত ইউনিট গ্যাস আমরা ব্যবহার করছি আর কত ইউনিট গেছে আমরা দাম দিচ্ছি এইটাই তো আমরা ঠিক করতে পারি নাই এখন পর্যন্ত । যেমন যারা গ্যাস ব্যবহার করবে তারা প্রিপেইড মিটার সিস্টেমে যেটুক ব্যবহার করবে শুধু সেইটুকু দাম দিবে আর এই নীতিতেই আমাদের সরকার কার্যকর করতে পারছে না কাজেই ভোক্তা তো প্রথমেই বলবে আমি মাপমতো জিনিস পাচ্ছিনা।

এখন আমরা মানের কথায় আসি,  আমরা জানি যে কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে তার মান খারাপ হয় যা বিশ্ব স্বীকৃত । কার্বন ডাই অক্সাইডের ব্যবহারের কারণে এবং গ্যাসের তুলনায় এই বিদ্যুৎ কে বেশি দামিও বলা হয়। সবচেয়ে ভালো হলো পানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা ভাগ্য ভাল আমাদের কাপ্তাই বাঁধ একটা রয়েছে এবং সাথে আমরা কতদিন ধরে শুনছি যে নেপাল থেকে ভুটান থেকে আনা যাবে কিন্তু এগুলো কি আদৌ আনা গিয়েছে বা আনা যাবে যাবে? আমাদের রিনিউয়েবল এনার্জি খুব দ্রুত বাড়াতে হবে এই কথাটি আছে কিন্তু সরকার কি কখনো পরিষ্কার করে বলেছে যে এত সালের মধ্যে এতবার সিনোলজি আমাদের মধ্যে থাকবে।
দামের প্রশ্ন যখন আসবে তখন এজে ইকোনোমিস্ট আমি বলব একটা দাম তো আমি আগেই বলে দিলাম যেটা আমাদের সভাপতি বলেছেন টলারে বল প্রাইস প্রাইস । ইকোনোমিস্টের একটা নিয়ম হচ্ছে প্রথমে আমরা দেখব প্রোডাকশন কোস্ট তার সঙ্গে দেখব আমরা নরমাল প্রফিট সেটা টলারে বল হতেও পারে নাও হতে পারে ইট ডিপেন্ডস আপন ক্রেতা যদি টলারে বল না হয় তাহলে সরকার চেষ্টা করবে তার ভর্তুকি দিয়ে টলারে বল করার জন্য, কিন্তু ভর্তিকে দেওয়ার আগে তো তার এটা ইন্সটল করতে হবে যে মিনিমাম কষ্টে সেই বিষয়টি হচ্ছে কিনা নাকি অকারণেই কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে এটা লক্ষ্য রাখতে হবে এবং এখন আমরা বলতে পারি আমাদের সরকার হচ্ছে এই দুই জায়গাতেই উল্টো পথে হাঁটছে । সবচেয়েকম কস্ট হচ্ছে large-scale বিদ্যুৎ আর আমাদের সরকার সেই লারজ স্কেল বিদ্যুৎ এই হাঁটছে । আপনাদের মনে আছে কিনা জানিনা কিন্তু আওয়ামী লীগর এক সময়  বিএনপিকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করত খাম্বা সরকার বলে কারণ তারা সঞ্চালন লাইন বসিয়ে  রাখলেও বিদ্যুৎ দিত না কিন্তু এখন হচ্ছে আমাদের অনেক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট রয়েছে কিন্তু সঞ্চালন লাইনে নেই। আমাদের সরকার ইমারজেন্সি অথবা দ্রুত তার কারণে এই বিদ্যুতের খেলা খেলাটা করে যাচ্ছেন তখন হয়তো আমরা এদের সাহেবের কথা অনুযায়ী বলতে পারব যে দ্রুত করার ব্যাপারে তো একটা প্ল্যান থাকা উচিত কিন্তু প্ল্যান বিহীন সেই দ্রুততার কোন কাজ হবে না। ইনডেমনিটি আইন এর মাধ্যমে দ্রুততর কাজ করলেন কিন্তু সেই কাজ অনুযায়ী ভোক্তাদের কে বিদ্যুৎ দিতে পারলেন না।

কিন্তু দ্রুত তার মাঝে আমাদের তো বলা উচিত ছিল যে এটা একটা ইমার্জেন্সি আইন এবং এই আইন এতটুকু সময় চলবে কিন্তু এখানে তো দেখছি আমরা যে প্রথমে দুই বছর তারপর চার বছর এবং তৃতীয় বার আমরা তিন বছর আইনের মেয়াদ বাড়ালেন। তাহলে এই আইনের মেয়াদ এর ফলে জরুরি ভিত্তিক কিভাবে কাজ করলো? জরুরী এর পিরিওড যদি আপনি নয় বছরের মধ্যেই রাখেন তাহলে তো সেটার জরুরি মধ্যে’ পরল না। আবার এবার আপনি বলছেন আরো ৫ বছর এই আইনের মেয়াদ দীর্ঘ করতেন তাহলে আমাদের জরুরী ভিত্তি কী এই চৌদ্দ বছর ধরে চলবে? আরেকটা বিষয় হলো রিমোট প্রাইস আপনি যদি মার্কেটে হাতে ছেড়ে দেন তাহলে কম্পিটিটিভ মার্কেটে সেই প্রাইজটা রিমোলেটিভ ই হবে কিন্তু মার্কেট যদি মনোপলি হয় সে ক্ষেত্রে রিমোলেটিভ হবেনা। কারণ মার্কেটে যদি আইন করে দেওয়া হয় যে কম্পিটিশন আপনি এলাও করবেন না বা টেন্ডারিং আপনি এলাও করবেন না তাহলে কম দামে আপনি কিন্তু পারবেন নাকিনতে পারবেন না। তাহলে আপনি দ্রুততর কাজের জন্য কম্পেটিশন অফ রাখলেতাহলে আপনার লভ কম্পিটিশন এই বিষয়টা তো পরস্পর কন্ট্রাডিক্টরি হয়ে গেল। এর ফলে তো এলপিজির দাম ১০০ টাকার ঊর্ধে হয়ে গেল। এজন্যই মুক্তবাজারের কম্পিটিশন না চাওয়ার ফলে হায়েস্ট কস্ট যে প্রস্তাব আমি দিয়েছি কিনেছি সেই প্রাইস আমার দিতে হবে। আমার মনে হচ্ছে এখানে কোনো রাজনীতিক ভেস্টেড ইন্টারেস্ট আছে অথবা ব্যবসায়িক ভেস্টেড ইন্টারেস্ট রয়েছে। একটা কথা বলে শেষ করতে চাই সেটা হচ্ছে একদিন একটা টকশোতে সামিট গ্রুপের পরিচালকের সাথে আমি যখন গাড়িতে করে আসছিলাম তখন তার সাথে একটা বিষয় নিয়ে কথা হয় তাহলো সমুদ্র থেকে পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে খরচ কেমন হয় তখন তিনি আমাকে বললেন যে সেটার খরচ অনেক কম হবে এবং আমরা চাইলে খুব সহজেই সেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি কিন্তু সেটার জন্য সরকারের পারমিশন যেমন লাগবে তেমনি বিদেশিদের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি ভাড়া করে এনে কাজ করার ক্ষেত্রে কিছু কষ্ট বেড়ে যাবে কিন্তু আমি বলব এর ফলে যে আমরা বিদ্যুতের দাম কমাতে পারবো সেটা নিশ্চয়ই নিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও কেন কিছু কষ্ট বেশি হওয়ার পরেও তা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি না্র।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন

প্রকাশক

ভোক্তাকণ্ঠ

আমরা যারা মানে আমাদের যাদের বিদ্যুৎ-গ্যাস এগুলি নেই আপনার যাদের মাঝে আমরা বিল দিতে পারি নাই তাদেরকে আমরা দায়বদ্ধ মধ্যে বলা যায় । মানে আমাদের এই পাওনা বিল বিল শোধ করতে হবে না। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম এই দায়বদ্ধতা টা হচ্ছে সামরিক আইনের দায়বদ্ধতা অর্থাৎ সামাজিক সামরিক সরকার যা বলবে তার মাঝে আমাদের কোন প্রশ্ন করা যাবে না । ইমারজেন্সি কালে অথবা জরুরী সময় বলতে আমরা যুদ্ধকালীন সময়ে বুঝতে পারি বা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ সময় কিন্তু আমাদের তথ্য সেরকম সময় হয়না আমরা নেই তাহলে কেন আমাদের বারবার সময় পাল্টিয়ে ১০ বছর, ৮ বছর ৯ বছর করা হচ্ছে। আলোচকরা আলোচনার বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেছেন যে এটা আমাদের সরকারের দুর্বলতা কিন্তু এটা কি আসলে সরকারের দুর্বলতা। আসলে এটা সরকারের দুর্বলতা না এটা জনগণের দুর্বলতা । সরকারের বুদ্ধিমত্তা বা লুণ্ঠন করার প্রক্রিয়া। যেমন আমার বাসায় যদি ডাকাত পড়লো তাহলে তাকে ধরতে না পারা টা হচ্ছে আমার দুর্বলতা কিন্তু আমার বাসায় এসে শক্তি দেখানো সামর্থ্য ঢাকাতেই ছিল ঠিক তেমনি যে আদায় করছে সে কোন আইনের তোয়াক্কা না করে আদায় করছে তাকে বা সরকারের ভিতরে যে মানুষগুলোকে কখনোই দুর্বল বলা সদ উচিত নয়। সরকারের সাথে যে মানুষগুলো কাজ করেন তারা অনেক ভালো বিশেষজ্ঞ এমনকি আমাদের থেকেও অনেক ভালো বিশেষজ্ঞ বলা যায় কারণ কেননা তারা এমন এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করে বা এমন এমন কিছু প্রক্রিয়া ব্যবহার করে যার ফলে আমাদের এই সেই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে অনেক সময় চলে যায় । এখন আসা যাক ইম্প্লেমেন্টেশন অফ ল এর বিষয় কন্তেম্পট অফ কোর্ট কিছু বিষয়ের ডায়না অনেকগুলো কিস থাকা সত্যও সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আমরা কার কাছে যাব এই প্রশ্নটিই সবার কাছে। আমি একজন সাধারন মানুষ হিসেবে মনে করি ইম্প্লেমেন্টেশন অফ প্লক প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের আইনের সম্প্রসারণ হওয়া উচিত।

ধরেন আমি থানায় বসে প্রত্যেকদিন একটা করে মার্ডার করলাম যারা নিহত হলেন তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো কেস ফাইল করলেন না কারণ কেস ফাইল করলে ১২ বছর তাকে নিয়মিত কোর্টে যেতে হবে তারমানে থানার পুলিশের কাছে এই ঘটনার অভিযোগ করতে হবে তারপর তারা না হয় বিবেচনা করবে এই ঘটনা দেখভাল করবে কিনা। এখন দেখেন যখন আমরা বঙ্গোপসাগর জয় করলাম তখন আমাদের বলা হয়েছিল যে আমাদের এখন আর কোন গ্যাসের অভাব থাকবে না কিন্তু এখন চারপাশে দেখেন,  যেখানে মায়ানমার গ্যাস উত্তোলন করছে সেখানে বাংলাদেশের গ্যাস তরুণ করা মানুষদের ধারণা যে কনক্রেত দেয়াল দিয়ে তাদের গ্যাস আটকে রাখা হয়েছে সমুদ্রের ভিতর। অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরের গ্যাস আমাদের দুই প্রতিবেশী তুলতে থাকুক পরে যদি আমাদের শক্তি থাকে তাহলে আমরা এই চিন্তাটি মাথায় আনতে পারি । শেষে বলা যায় যে সরকার দুর্বল না প্রকৃত অর্থে জনগণই দুর্বল আর এখানে ক্যাব হচ্ছে একটি মাধ্যম জনগণের এই শক্তি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে। আমাদের এখানে দিনের-পর-দিন কেস করছে কিন্তু এই কাজগুলো রায় হবে কিনা তানিয় এখনো সংশয় রয়ে গিয়েছে।

সুলতানা কামাল

মানবাধিকারকর্মী

আজকের আলোচনায় আমরা যে কথাগুলা পেয়েছি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দুর্নীতি লুণ্ঠন বিশেষ ব্যক্তিবর্গের সুবিধা দেওয়া , তাই আজকে আমরা জ্বালানি নিয়ে যখন আলোচনা শুরু করি শুরু থেকেই কিন্তু আমরা যারা নিজের লাগামহীন দাম এবং জ্বালানি সংকটের কথা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার কথা। এটাও আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে এই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিবর্গ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের অপরাগত থাকার কথা। এই যে দায়বদ্ধতা এবং দায়মুক্তি এই বিষয়টা যদি নিয়ে আসি তাহলে আমরা যারা পলিটিক্যাল সাইন্সে পড়াশোনা করেছি বা সমাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছি তারা সাধারণ জ্ঞান থেকে বলতে পারব রাষ্ট্রের বিষয়টি হচ্ছে একটি চুক্তির ব্যাপারে একটি সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট। তার ফলে বলা যায় যারা দেশ পরিচালনায় যাবে তাদের সাথে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সাংবিধানিক একটি চুক্তি থাকবে যার মাধ্যমে তারা আমাদের হয়ে তারা দেশ পরিচালনা করবেন। এখন বিষয়টি এমন হয়ে গেছে যে তারা আমাদের হয়ে রাষ্ট্রপরিচালনা করতে গিয়েছেন নাকি অন্য কারো হয়ে সেই প্রশ্নটা এখন সবার মাঝে বিরাজ করছে । যদি আমাদের হয়ে রাষ্ট্রপরিচালনা করতো তাহলে আমাদের স্বার্থটা তারা দেখতো বা আমাদের ভালোর দায়বদ্ধতা তাদের থাকতো।

আমি বলবো তাদের দায়বদ্ধতা আছে কিন্তু তাদের সেই দায়বদ্ধতার জায়গা রয়েছে অন্য একটা মাধ্যমে। সেজন্যই আমাদের মনের মাঝে আক্ষেপ থাকে যে যারা সেই জায়গাটায় রয়েছে সেই জায়গাটায় আমরাই তাদের নির্বাচিত করেছিভা তারা আমাদের মানুষ ভেবে থাকি ঠিক তেমনি হয়তো তারাও ভেবে থাকে যে এরা তো আমাদের মানুষ না। তারা যদি আমাদের মানুষ না হন বা তারা যদি নিজেদের আমাদেরকে তাদের মানুষ না মনে করেন তাহলে সেখানে একটা বিচ্ছিন্নতা জায়গা রয়েছে আর সেই বিচ্ছিন্ন জায়গার মধ্যেই আসে আরো নতুন কয়েকজন মানুষ সেই জায়গাতে আমরা কিছু গোষ্ঠীর পরিচয় পেয়েছি মানুষজনের পরিচয় পেয়েছি এই আলোচনা। সেখানে সামরিক-বেসামরিক আমরা আছেন এখানে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী রয়েছেন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর রয়েছেন মানে তাদের কাছে জনগনের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে তা তারা স্বীকার করতে চাচ্ছেন না কিন্তু তারপরও তো এত সহজে ছাড় পাওয়া যায়না তাই সেখানে ইংডেংটিতী এর  একটা বিষয় রয়েছে। যার ফলে তাদেরকে কোনভাবে প্রশ্ন তোলা যায় না প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় না। আমরা সাগর জয় করেছি আকাশ জয় করেছি কিন্তু আমরা বঙ্গোপসাগর থেকে গ্যাস তুলবো না আমাদের এই গ্যাস তোলা নিয়ে মিয়ানমারের সাথে একটা সমস্যা সৃষ্টি হল তারপর আমরা মীমাংসায় আসলাম এই জায়গাটায় মোবাশ্বের ভাই স্পষ্ট ভাবে বলেই দিয়েছেন এই ক্ষেত্রে আমরা বেশি মূল্যে আমদানি করেছি এবং এখানে পস্ক বৃত্তি একটা কথা আসে সেটা করার একটা সুযোগ এখানে করে দেওয়া হচ্ছে। অপচয় এর ব্যাপার আছে যা আমার বোধগম্য কম হলেও আপনাদের কথা শুনে যা বুঝলাম এই যে বসে বসে কুইক রেন্টাল সিস্টেমে তাদেরকে যে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে এই টাকাটা আসোলে কোত্থেকে আসছে । আমরাতো বিশেষ বিশেষ মানুষের অনেক অবদান এবং তাদের সেই অবদানের পোস্টটা দেখতে পাচ্ছি কিন্তু সেই অবদানের আসল ভিত্তিটা কি এই অর্থ কথা থেকে আসছে? তারা কিন্তু এক্ষেত্রে ঠিক সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন ব্যাটা সুরক্ষা পেয়ে যাচ্ছেন যেখানে আমরা আমাদের সেই সুরক্ষা বড়টা পাচ্ছিনা যেখানে আমাদের প্রত্যেকবারই আইকর দেওয়া নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কিন্তু আমাদের সেই ক্ষেত্রে প্রপার সুরক্ষা দেওয়ার মতো কথা বলার মত মানুষ নেই। আমরা কি এক শাসন ব্যবস্থার মধ্যে পড়লাম যেখানে ক্ষমতার দর্প কোন একটা পরিচয়ের মাধ্যমে লুন্ঠন করাটাকেই সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চলছে। আমি এক মিনিটে শেষ একটা কথা বলতে চাই ইমারজেন্সি বলতে আমরা ১ দুইদিন অথবা ১-২ মাস বুঝে থাকি কিন্তু কখনও বছরের-পর-বছর ইমারজেন্সি হতে পারে তা বলা বেমানান। আমার এক বন্ধু একদিন আমাকে বলেছেন আসলে ও কি আমাদের দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কিনা ৭ লাখ মানুষের সেই যুদ্ধে বৈষম্যহীন দেশ চাওয়ার পরও আমাদের সংবিধান বলে কিছু আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয় । জনগণের স্বার্থে আইনের শাসন রয়েছে কিনা তা বোধগম্য হয় না। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি করলাম এবং সেটা জাঁকজমকভাবে আমরা পালন করছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কি আমাদের নিজেদের উন্নয়নের পরিকল্পনা আমরা স্বাধীনভাবে করতে পারিনা। আমাদের মাতার বাড়ি যে জায়গা সেখানে অর্থায়ন হচ্ছে ঠিকই আবার যেই জি সেভেন সামিট আছে সেখানে মোটামুটি ভাবে প্রতিজ্ঞা করেছে যে সেখানে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প করবেনা কিন্তু ঠিক হয় আমাদের মাতার বাড়ি জায়গায় সেটা করে যাচ্ছে। এই যে এখানে এই কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট এটা আমরা সমর্থন করচছ কেন সরকার সেটা এলাও করছে কেন তখন ঘুরেফিরে কিন্তু সেই একই কথা বার আসেসেই দুর্নীতি বা লুণ্ঠন করার সুযোগ দেওয়ার জন্য এই কথাগুলো আবার আসে।
কাজী আব্দুল হান্নান

সম্পাদক

ভোক্তাকণ্ঠ

ইনডেমনিটি বাতিলের জন্য যে মামলা আমাদের দেশে আমাদের সামনে রয়েছে তার মধ্যে তিনটি মামলা নিয়ে একজন রিপোর্টার হিসেবে কভার করার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেখানে শুনানি এবং রায়  দুটোতেই নাগরিককে সুবিচার প্রাপ্তির মানবাধিকার এবং মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করে রাষ্ট্র কোন আইন করতে পারে না করলেও তা বহাল রাখতে পারবে না। এই তিনটি মামলার মধ্যে দু’টি মামলার রায়ে বলা হয়েছিল সংবিধান বলবৎ থাকা অবস্থায় এর কোন বিধান স্থগিত থাকতে পারেএইটা আদালত মনে করে থাকেন, তাতে এমনভাবে বাতিল হবে যে কখনোই এর অস্তিত্ব ছিল না। আমাদের সামনে এই তিনটি মামলা বাতিল হয়ে যাওয়ার অস্তিত্ব বা নজির রয়েছে। এবার যদি আমরা এই আইনের প্রসঙ্গে আসি সেখানে বলতে পারবো এই আইনটি ক্যাব এর পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছেএবং অনেক আগেই এইটি পেন্ডিং হয়ে আছে শুনানির আমরা যদি এই পুরো আইনকে আঘাত করে এশুনানি করতে চাই তাহলে অবিচার পাবো এমন একটা অবস্থায় পড়তে পারি। তাই আমি মনে করি শুধুমাত্র এই ইন্দেমনিটি এই ক্রুজের বিরুদ্ধে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
রইস সরকার
সাধারণ সম্পাদক

ক্যাব, নাটোর জেলা।
আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা ৫০০ কিন্তু আমি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখতে পেলাম যে হাজার ১৯। আজকের আগ পর্যন্ত আমাদের উৎপাদন হয়েছে মাত্র ১০। এখানে একটি বিষয় দেখা যায় যে এক বছরে কত লক্ষ কোটি টাকা পরিশোধ দিতে হচ্ছে জনগণের করের টাকা থেকে, আসলে এই ভর্তুকি সমান টাকা কি আমাদের জনগণের করের টাকা থেকে দেয় নাকি সরকারের থেকে থেকে দেয় আমার প্রশ্নটাই এইটা।এই যে তারা যে বলে আমরা ১8 টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ কিনে ৫ টাকা ছয় টাকা আপনাদের বিদ্যুৎ দিচ্ছি কিন্তু তারা কি আসলেই সেটা করছেন। এখানে আমার এলাকার একটা সমস্যা কথা বলি যেখানে ভক্তাদের টাকা দিয়ে একটি মিটার কিনার পরে তারা সেটা ফেলে দিয়ে তার আবার নিজস্ব টাকা দিয়ে বা নিজস্ব উপায় আরেকটি মিটার কিনে তারা ভোক্তাদের কেনা মিটারের ক্ষতিপূরণ তো দেই নাই বরং সেই তাদের নতুন মিটার লাগানোর বাহানা ধরে আরো কত বছর যে টাকা তুলবে এইটার প্রতিকারে ক্যাব কি কোন ব্যবস্থা নিবে নাকি আমার প্রশ্ন এখানেই।

মোশাররফ হোসেন

সাধারণ সম্পাদক

ক্যাব প্রতিনিধি, চাঁদপুর জেলা

আমরা কবে থেকে যারা কাজ করছে এখানে সুলতানা আপার কথা মতে উনি বললেন উনি নিজেই ভয়ে থাকেন কর দেয়ার বা করের মাঝে আটকে যাওয়া নিয়ে তাহলে আমরা যারা এই মফস্বলে আছি আমরা কিন্তু নিজেরাও একটা সংকট এর মাঝে থাকি কারণ আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের অনেক কিছুই করে থাকি যার ফলে কোনো কারণে আমরা কোন মামলা খেয়ে যায় নাকি সরকারের পক্ষ থেকে আমার বক্তব্যটি এখানেই।

জামিল চৌধুরী

সভাপতি

ক্যাব, সিলেট জেলা।

আমাদের বিশেষজ্ঞরা কিন্তু ভাবছেন না একটা বিষয় যে এখন থেকে আর ১০০ বছর ৫০০ বছর পরে এই বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে তারা কি করবেনকিন্তু অন্যান্য দেশের মানুষরা কিন্তু ঠিকই তা নিয়ে ভাবনা করে ফেলছেন বা করে রাখছেন। আবার অন্যদিকে এমনও অনেক দেশ আছে যারা তাদের প্রাকৃতিক গ্যাস বা তাদের নিজস্ব বিদ্যুতের ভান্ডার রেখে অন্য থেকে আমদানি করছে কিন্তু সত্যি কথা বলতে এই যে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা না করে তেমন কিছু করার কিন্তু সুযোগ নেই। আমরা আমাদের সময়ের মুরুব্বিদের কাছ থেকে বা পুরোনো দিনে আমরা দেখেছি তখন জনসংখ্যা কম ছিল তখন আমাদের এই প্রাকৃতিকভাবেই গ্যাস-বিদ্যুৎ ইউজ করা হতো তখন আমাদের অত ঘাটতি ছিল না। কিন্তু এখন আমাদের পরিবেশের দিকে যেমন আমরা নজর দিচ্ছিনা শুধু আমাদের দায় বদ্ধতা নিয়ে আলাপ করল আমাদের দায়িত্বটা নিজে বুঝে নিচ্ছি না তাই আর্টিফিশিয়াল বাবু তরলের মধ্যে গ্যাস ব্যবহারযোগ্য না করে প্রাকৃতিক গ্যাস কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা নিয়ে অন্য দেশে অনেক কথা হলো অনেক ভাবনা থাকলো আমাদের দেশে কি তা হচ্ছে? এখন আমার প্রশ্ন হল গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে সেটা কনফার্ম আমাদের দেশেও ১0 20 বছর পরে আর কোন গ্যাস থাকবে না তখন কিন্তু থাকবে শুধুই প্রাকৃতিক গ্যাস। আমি লন্ডনে দেখেছি গতবছর বিদ্যুতের বিকল্প হিসাবে প্রত্যেক বাড়িতে সোলার প্যানেল ইউজ করা হচ্ছে যা থেকে আমার মনে হল সেখানে আর কিছুদিন পরে পুরোটাই এই প্রাকৃতিক ভাবে বিদ্যুৎ চালনার উৎস হয়ে দাঁড়াবে। আমি এটাও বলতে চাই আমি এই ৭৫ বছরের পৃথিবীতে ভ্রমণ করে যা দেখেছি তাতে করে আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি আমরা অনেক পিছনে পড়ে আছি।

আবু তাহের

সাধারণ সম্পাদক

ক্যাব, মৌলভীবাজার জেলা

বৈষম্যহীন একটি সমাজ ব্যবস্থা করার কথা আমাদের সকলকে বলা হয়েছে, তো আমরা এইখানে দেখছি যে কিছু মানুষ পিপেট মিটার বা ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করছে আর কিছু মানুষ পুরাতন রেটিং মিটার ব্যবহার করে যাচ্ছেন এখানে অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন যে ডিজিটাল মিটারের রিডিং মিটার এর থেকে বেশি বিদ্যুৎ বিল এসে থাকে, এখানে মিটার কেনার পর অথবা ডিমান্ড অনুযায়ী বিদ্যুতের মিটার কেনার পরেও কেন মাসে মাসে এর জন্য অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়আবার মিটারে  ভ্যাট দেওয়া তো আছেই। আমার মনে হয় ক্যাবের এই বিষয়টা নিয়ে আরো সোচ্চার হওয়া উচিত এবং সকলের পিপেট মিটার ব্যবহার করার জন্য সুবুদ্ধি দেওয়া উচিত।

গোলাম রহমান

সভাপতি

কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)

বিদ্যুৎ ও গ্যাস একটি দেশের অর্থনীতির উপর সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ যেসব দেশে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি বেশি ব্যবহৃত হয় সেসব দেশে অধিক উন্নত এবং তাদের জনগণের জীবনমান বেটার। তাই আমাদের অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি রে ক্ষেত্রটা সরকারের হাতে কিছু ক্ষেত্রে এখন বেসরকারি খাতের প্রাধান্য পাচ্ছে। বিদ্যুৎ একটি কমার্শিয়াল আইটেম শুধু এটা ভাবা উচিত নয় এটি একটি সরকারের উন্নয়নের মাধ্যমে। এই অঙ্গীকার তাই গত দশ বারো বছরে উজ্জীবিত হয়েছে বিদ্যুতের ব্যবহারকারীর সংখ্যাও  দ্বিগুণ হয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এই অগ্রগতি কাঙ্খিত পর্যায় এখনো পৌঁছায়নি ।বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করার নামে অপশাসনের দিকে উদিত হচ্ছে সরকার। বিদ্যুতের যে ক্রয় নীতি তার মূলনীতি হলো প্রতিযোগিতামূলক ক্রয় সম্পন্ন করা। বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি বিশেষ আইনবারবার বাড়ানো হচ্ছে এবং হয়েছে। এটা কোনভাবেই সমুচিন নয়। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতের মধ্যে যে প্রতিযোগিতামূলক জায়গাটি হয়েছিল তা সংকুচিত হয়ে গিয়েছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই আমাদের সুপারিশ হবে এই আইনটি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা। যেসব ক্ষেত্রে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করা হবে সেসব ক্ষেত্রে সুইট চ্যালেঞ্জ এর ব্যবস্থা করা । এই চ্যালেঞ্জের বিষয়টি আশা করি সবারই জানা আছে। একটি মূল্য নির্ধারণের ফলে এটার চেয়ে কম দামে কেউ সেই পণ্যটি দিতে পারে কিনা বা তার দিতে পারে কিনা তার চ্যালেঞ্জ নিশ্চিত করা।  এর ফলে আমরা নেগোসিয়েশন মাধ্যমে যিনি কম দামে সুযোগ দিবেন তার কাছ থেকে আমরা সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করিব। এই বিশেষ আইনটি করার জন্য আমরা সুপারিশ করছি কিন্তু যদি কোনো কারণে এই আইনটিসম্ভব না হয় তাহলে এই আইনের সুইট চ্যালেঞ্জের  মাধ্যমে জনগণের স্বার্থ কিছুটা ভর্তুকি হিসাবে করতে হবে বলে মনে করি। ভাড়া বিদ্যুৎ বা কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় আমরা মনে করি না যে সেটার কোনো যুক্তি কথা আছে। গত বছর থেকে ক্যাপ থেকে বলা হচ্ছে যে কুইক রেন্টালের মেয়াদ শেষ হলে যেন নবায়ন করার না হয়। বি আর সি ও এই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেতারপরেও এই উদ্যোগ থেমে নাই তাই আমরা মনে করি এইসব উদ্যোগ মেয়াদ বৃদ্ধির উদ্যোগ তা কোনোভাবেই শুভকর নয়। তাই এটি বন্ধ এর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। ইভেন বিআরসি তেও কখনও কখনও আমরা বিআরসি তে যারা কর্মরত আছেন তারা তাদের পুরনো যে কর্মসংস্থানের ছিলেন সেসব সংস্থানের কাজের প্রাধান্য এই জায়গায় বেশি দেখিয়ে থাকেন ভোক্তাদের স্বার্থের চেয়ে। ডিয়ার সিতে কর্মরত যারা ব্যক্তি বা লাইসেন্সধারী যারা রয়েছেন তাদের রিটারমেন্ট পাঁচ বছরের মধ্যে তারা আবার  তাদের পজিশনে ব্যাক করতে পারবেন  না। 2008 সালে একবার জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণবিয়ার্স এর আওতা থেকে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ হয়েছিল আমরা সূচনা বক্তব্যে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তাহলে গ্যাসের ক্ষেত্রে বাজারে বেশি উঠানামা করে তাই বারবার মূল্য নির্ধারন ধরনের প্রশ্ন বেশি দেখা দেয় । সেজন্যই ক্যাব থেকে গত কয়েক বছর ধরেই বলা হচ্ছে বিআরসি কে তারপরে নির্ধারিত মূল্যে বা কম মূল্যে তার একটা প্রাইস টেবুলেশন ফান্ড জমা হওয়ার এবং বেশি মূল্য পড়বে ক্রয় মূল্যের তার প্রাইসইস স্ট্যাবিলাইজেশন থেকে থেকে পরিশোধ করার বিষয় রয়েছে। এর ফলে সরকার থেকে চাপ আসবে না এবং ভোক্তা ও অসুবিধায় পড়বে না। বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এটা শুধু ব্যবসায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড নয় সামাজিক ব্যভিচার এবং জনকল্যাণে আরো কার্যকর বিশেষ করে দরিদ্র ভক্তাদের ক্ষেত্রে করতে হবে। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি এই আজকের এই আলোচনার শেষ করছি।