‘অবৈধ ব্যবসায়ীরা দেশটাকে জিম্মি করে রেখেছেন’

অবৈধ ব্যবসায়ীরা দেশটাকে জিম্মি করে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। এসব অভিযানে যেখানেই হাত দিচ্ছি সেখানেই অনিয়ম পাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ভোক্তারা ঘুম থেকে উঠে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতারিত হচ্ছেন। ভোক্তাদের অনেকেই তাদের অধিকারের বিষয়টিও জানেন না। ভোক্তারা বাজারে যেসব দ্রব্য কিনছেন তা সঠিক মানে ও মূল্য পাচ্ছেন কি না এসব বিষয়ে তাদের সচেতন করতে আমরা কাজ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার মতো কোন অদৃশ্যের হাত নেই। তবে কিছু ব্যবসায়ীর সাম্প্রতিক বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে বেশির ভাগ পণ্য ক্রয়ের পর দ্রব্যটি ক্রেতার ভালো না লাগলে একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তিনি তা ফেরত দিতে পারেন। ক্রেতা চাইলে দ্রব্য ক্রয়ের পুরো অর্থও ফেরত পান। একজন ভোক্তা হিসেবে এটি অনেক বড় পাওয়া। আমাদের দেশে এ বিষয়টি এখনো পুরোপুরি প্রচলন পায়নি। আমাদের দেশে বিক্রেতারা ভাবেন দ্রব্য বিক্রি করতে পারলাম মানে বেঁচে গেলাম।’

সভাপতির বক্তব্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষরণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘দ্রব্য কেনাকাটার ব্যাপারে ভোক্তারা আগের তুলনায় অনেক সচেতন হয়েছেন। অধিদপ্তর থেকে তাদের আরও সচেতন করার জন্য আমাদের প্রচারণা চালু রয়েছে। যুদ্ধের মাধ্যমে রাতারাতি কোন কিছু পরিবর্তন হলেও সমাজ বিপ্লব একদিনে হয় না। স্তরে স্তরে তার পরিবর্তন দরকার।’

কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস, ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রজবী নাহার রজনী প্রমুখ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেস ক্লাব, কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীসহ আড়াই শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন।