ঝুঁকি নিয়েই ট্রলারে যাত্রী পারাপার

মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষ পারাপারে ১৫টি ফেরি চললেও সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। লকডাউনের মাঝেও পরিবারের সাথে ঈদ পালন করতে হুড়োহুড়ি করে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তাই বিকল্প হিসেবে ঝুঁকি নিয়েই ট্রলারে যাত্রী পারাপার করতে হচ্ছে।

যাত্রীদের অনেকে বলেছেন, ‘এখন টাকা-পয়সা যা লাগে লাগুক। আমাদের বাড়িতে যেতে হবে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে করে হলেও যেতে হবে।’ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ট্রলার বোঝাই করে বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বা নৌ পুলিশও যেন জনতার ঢলের কাছে অনেকটা হার মেনে নিচ্ছেন।১১ মেবিকেলে অনেকটা বাধ্য হয়ে ট্রলারযোগে যাত্রীরা পারাপার করা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৫টি চলছে। তবে ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে পণ্যবাহী চার শতাধিক গাড়ি। কোনোভাবেই জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানা হচ্ছে না।’

তিনি আরো বলেন, যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফেরি চলাচল করছে। বর্তমানে যাত্রীদের চাপ সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বাকি ফেরিটিও সচল হলেই যাত্রী ও গাড়ি পারাপার করার জন্য ঘাটে আসবে।

শত বাধা উপেক্ষা করে ছুটে আসছেন অনেক মানুষ মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে। ঘাটে এসেও ফেরিতে উঠতে পারছেন না। যাদের শরীরে শক্তি রয়েছে তারা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠতে পারলেও দুর্বলরা উঠতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিমুলিয়া ঘাটে।

‘কিছু যাত্রী ট্রলারে পার হয়েছে তবে এখন আর চলছে না।’ মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘাটে যাত্রী চাপ থাকলেও যানবাহনের তেমন কোনো চাপ নেই। ঘাটে চার শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান,সাফায়েত আহমেদ ।