নতুন বাজেটে মোবাইল এবং ইন্টারনেট খরচের ইতিকথন

করোনা মহামারিতেও কমছে না মুঠোফোনে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ। প্রস্তাবিত বাজেটে টেলিকম সেবায় কমানো হয়নি সম্পূরক শুল্ক কিংবা সিমট্যাক্স। সুখবর নেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারেনেট সেবায়ও। 

করোনাকালে সামাজিক যোগাযোগ থেকে দাপ্তরিক কাজকর্ম, কেনাকাটা, আর্থিক লেনদেন সবই চলছে মুঠোফোন কিংবা ইন্টারনেটে। ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে মুঠোফোনে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমাতে কর ছাড়ের প্রস্তাব দেয়া হয়।

তবে বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের উত্থাপিত বাজেটে মুঠোফোন সেবায় ভ্যাট এবং সম্পুরক শুল্ক ১৫ শতাংশ কোনো হেরফের হয়নি। কমানো হয়নি ২০০ টাকা সিমট্যাক্সও। মুঠোফোনে ১০০ টাকার কথা বলায় ৩৩ টাকা ২৫ পয়সা এবং ডাটা ব্যবহারে প্রায় ২২ টাকা খরচ অপরিবর্তিত থাকছেই।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্পূর্ণ প্রকাশ না কমালেও যেন ৫ শতাংশ কমানো হয় সেটি আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এই বাজেটে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করলাম না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

করপোরেট করকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাধা উল্লেখ করে আসছে মুঠোফোন সেবাদাতারা। তবে উত্থাপিত বাজেটে পাবলিকলি ট্রেডেড মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ৪০ শতাংশ; পাবলিকলি ট্রেডেড নয় এমন অপারেটরদের ৪৫ শতাংশ করপোরেট কর হার অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে হতাশ অপারেটররা।

রবির হেড করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, ন্যূনতম করপোরেট কর এটা আমাদের অনেক দিনের দাবি। আমরা মনে করি এটা সম্পূর্ণ একটি অযাচিত কর। এটাকে যাতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা দেয়া হয় সেই আশা আমরা করছি।

যে কোনো পণ্যের ওপর সবোর্চ্চ ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। তবে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের দাবি, এই সেবায় এখনো প্রায় ৯৮ লাখ গ্রাহককে সর্বোচ্চ ২০শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে আমলে নেয়া হয়নি বিষয়টি।

আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকরা এখনো ১৫-২০ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছে। আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে এনবিআরের প্রতি যে অনুরোধ ছিল যে এই ৫ শতাংশ ভ্যাটকে প্রত্যেকটা লেয়ারে সমভাবে বন্টণ করে দেয়া যেতে পারে বলে আমাদের একটা ধারণা ছিল।

খরচ বাড়ছে মুঠোফোন টাকা লেনদেনে। পাবলিকলি ট্রেডেড এমএফএস প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর ৩২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের করপোরেট কর বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭ শতাংশে।