বাজার তদারকিঃ ৯৪ প্রতিষ্ঠানকে ৭.১৯ লক্ষ টাকা জরিমানা

ঢাকা, ২০ মে সোমবারঃ আজ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৩৩ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, মুন্সীগঞ্জ, জামালপুর, পটুয়াখালী, কক্সবাজার, বরিশাল, ঝিনাইদহ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাগুরা, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, খুলনা, যশোর, রাজশাহী, সিলেট ও ফরিদপুরে বাজার তদারকি করা হয়।

ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, জনাব আফরোজা রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় কর্তৃক মিরপুর, ধানমন্ডি, দারুস সালাম ও বাড্ডা এলাকায় বাজার তদারকি পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে হাজী হোটেলকে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে বিসমিল্লাহ গোসতের দোকান, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, নাবিল পরিবহন, দেশ ট্রাভেলস, শ্যামলি এনআর পরিবহন, শাহ ফতে আলী পরিবহন, এনা পরিবহনকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা করে ৩৫,০০০/- (পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে মীনা বাজারকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে বিসমিল্লাহ গোসতের দোকান ও বাড্ডা জেনারেল হাসপাতাল ফার্মেসীকে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে মীনা বাজারকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির অপরাধে বাড্ডা জেনারেল হাসপাতার ফার্মেসীকে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করার অপরাধে আল বারাকা এক্সক্লুসিভকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকাসহ মোট ২,৬৫,০০০/- (দুই লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

অপরদিকে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক ও জনাব জান্নাতুল ফেরদাউস কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর শাহজাহানপুর, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, শ্যামপুর ও সূত্রাপুর এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১২,০০০/- (বার হাজার) টাকা, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে তারেক আজিজের মাংসের দোকান, SALSA কে যথাক্রমে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে বিক্রমপুর দই ঘর, সেভেন ইলেভেন, প্রাইম হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে যথাক্রমে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে সেভেন ইলেভেন, SALSA, প্রাইম হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে যথাক্রমে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা ও ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকাসহ মোট ১,৫৭,০০০/- (এক লক্ষ সাতান্ন হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

এছাড়া দেশব্যাপী ২৮টি বাজার তদারকির মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য, ওজনে কারচুপির, অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৬৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২,৭৪,০০০/- (দুই লক্ষ চুয়াত্তর হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা ও ওজনে কারচুপির অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২৩,৫০০/- (তেইশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৬ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৫,৮৭৫/- (পাঁচ হাজার আটশত পঁচাত্তর) টাকা প্রদান করা হয়।

গত ১৯ মে ২০১৯ তারিখে ৩৩টি বাজার তদারকি ও ৬টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৯৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭,১৯,৫০০/- (সাত লক্ষ উনিশ হাজার পাঁচশত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং আদায়কৃত জরিমানা হতে ৬ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৫,৮৭৫/- (পাঁচ হাজার আটশত পঁচাত্তর) টাকা প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাব এসব তদারকি কার্যে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়েছে।