সার্বিক লকডাউনের মেয়াদ ১৬ জুন পর্যন্ত

চলমান সার্বিক লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়ায় সংক্রমণ রোধে ৫ এপ্রিল থেকে দেশে লকডাউন চলছে। তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট করোনাভাইরাসের বাংলাদেশে প্রবেশ রোধে কিছুদিন থেকে সীমান্ত এলাকায় বিশেষভাবে লকডাউন দেয়া হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, সীমান্ত এলাকা ছাড়া লকডাউন মূলত কাগজে-কলমেই। তবে অনেকেই বলছেন, সীমান্ত এলাকা ছাড়া লকডাউন মূলত কাগজে-কলমেই।

সীমান্ত এলাকা ছাড়া দেশের বাকি অংশে লকডাউন না বলে বিধিনিষেধ বলা উচিত। এর আওতায় ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সব ধরনের সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। অফিস-আদালতেও উপস্থিতি অর্ধেক থাকবে। হোটেল-রেস্তারাঁয় স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিতে বিধিনিষেধ বহাল রাখা যেতে পারে। লকডাউন নামটি বলার প্রয়োজন নেই বলে জানান, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা।

মোটামুটি সবকিছু খুলে দিয়ে বিধিনিষেধ সেভাবে কার্যকর না হলেও কিছু সুবিধা তো আছেই। মানুষের ফ্রি স্টাইলে চলাচলের ক্ষেত্রে এটা একটি প্রতিবন্ধকতা। শুধু ঘোষণা দিলেই হবে না, সব ধরনের গণসমাবেশ রোধে সরকারকে কঠোর তদারকি করতে হবে, তবেই বিধিনিষেধের সুফল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়া ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা আরও বলেন, যেমনই হোক, বিধিনিষেধ থাকলে তো সুবিধা আছেই। এটি থাকতে পারে। বিধিনিষেধ থাকলে একটা প্রেসার থাকে। সীমান্ত এলাকায় যেটা, সেটা হচ্ছে লকডাউন। এর মাধ্যমে মানুষকে ঘরে আটকে রাখা, এভাবে লকডাউন যদি দুই সপ্তাহ করা যায় তবে একটা ভালো চিত্র ফুটে উঠবে। তা না হলে সংক্রমণ ছড়াতেই থাকবে।’

তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় লকডাউন দিয়ে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে হবে। জনসম্পৃক্ততা খুব জরুরি, এটা আমরা বারবার বলেছি। লকডাউন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত না বলবে, চল আমাদের এলাকাটা আমরাই রক্ষা করি, ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর কিছু হবে না।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, লকডাউন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করলে সীমান্তবর্তী এলাকার উন্নতি হবে। সেটা করতে ব্যর্থ হলে সীমান্ত এলাকায় উন্নতি হবে না, ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে পড়বে। তাই সীমান্তের ঝুঁকিপূ্র্ণ এলাকাগুলো এখনই-আজই কঠোর ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সর্বশেষ বিধিনিষেধ বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর উচ্চ ঝুঁকিম্পন্ন জেলাসমূহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ এলাকায় সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

ইতোমধ্যে সীমান্ত সংলগ্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, খুলনা, সাতক্ষীরায় কঠোর লকডাউন দেয়া হয়েছে। সীমান্তের আরও নতুন নতুন এলাকায় লকডাউন দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।