অভিযোগ আর অভিযোগ ইভ্যালি ফাল্গুনী শপের বিরুদ্ধে

অর্ডার করে দুই তিন মাসেও পণ্য না পাওয়া, কাঙ্খিত পণ্য না পাওয়া এবং পণ্য একদমই না দেওয়া, এরকম অভিযোগ আসা থামছেই না ইভ্যালি ও ফাল্গুনী শপের বিরুদ্ধে।

অনলাইনে পণ্য কেনার খুবই নামকরা জনপ্রিয় সাইট এবং পেজ হলো ইভ্যালি ও ফাল্গুনী শপ। করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে পণ্য অর্ডার করা খুবই সাধারণ একটি বিষয়, অনেকেই অনলাইন থেকে পণ্য কিনে অনলাইনেই বা নিজস্ব বিজনেসও করে থাকেন। এই বিষয়টির ক্ষেত্রে সময়মতো এবং সঠিক পণ্য পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অথচ এই জায়গাটিতেই ভোগান্তিতে পড়ছেন অধিকাংশ ভোক্তারা।

খুলনার ফজলুল করিম ইভ্যালিতে অর্ডার করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেন। উনার অভিযোগ অনুযায়ী, অর্ডার করা দুটি পণ্যের একটিও হাতে পাননি। ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে দুটি প্রোডাক্টই দেওয়ার কথা থাকলেও দুমাসের বেশি সময় অপেক্ষা করেও পণ্য পাননি। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলেই অভিযোগ করতে বাধ্য হন তিনি।

অন্যদিকে যশোর এর খায়রুল ইসলাম এবং টাঙ্গাইলের সুলতান আহমেদ সোনামিয়া দুইজনেই ফাল্গুনী শপে পণ্য অর্ডার করে আশানুরূপ পণ্য পেলেও সঠিক সংখ্যার পণ্য পাননি। দুজনেই বাকি টাকাগুলো ফেরত পাওয়ার জন্য ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেন।

খায়রুল ইসলাম এর অভিযোগের বর্ণনায় তিনি লিখেন, “১৫০ পিস ফ্রেস সয়াবিন তেল বাবদ ৬৮৩০০ টাকা তাদের বিকাশ নাম্বার ০১৮৮০১৪১৪১৪ এ পেমেন্ট করি।৪ দিন পর তারা SA পরিবহনের মাধ্যমে আমাকে মাত্র ৫২ পিস তির সয়াবিন তেল দেয়। সাথে সাথে তাদের সাথে যােগাযােগ করলে বলে কিছুদিন পর বাকি গুলা দিবে। এরপর থেকে তারা আমার ফোন নাম্বার ব্লক করে রাখে। খুজ নিয়ে জানতে পারি এই শপ টা আরও অনেকের সাথে প্রতারিত করেছে।”

ঠিক তেমনি সুলতান আহমেদ সোনামিয়ার কাছ থেকে ২১৪৯ টাকা নিয়ে মাত্র ৩৫০ টাকার পণ্য দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তিনজনের করা এই অভিযোগগুলো এখনো নিষ্পত্তির পর্যায়ে রয়েছে। আশা করে আছেন যে তাদের এই ক্ষতির পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন এবং উল্লেক্ষিত প্রতিষ্ঠানগুলোর এই দোষগুলি সংশোধনের ব্যবস্থা করে দিবেন।

আরও পড়ুন: অভিযোগ তোয়াক্কা করেনা ইভ্যালি – VoktaKantho.com
আরও পড়ুন: সঠিক সময়ে পণ্য পাওয়া যেন সোনার হরিণ – VoktaKantho.com