আড়াই লাখ টন বোরো সংগ্রহ করবে সরকার

ঢাকা, ১১ জুন মঙ্গলবারঃ আজ সচিবালয়ে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে আরও আড়াই লাখ টন বোরো ধার কিনবে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘এ বছর ধানের বাম্পার উৎপাদনের ফলে মূল্য কমেছে। কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য আরও ধান কেনা হবে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে সেই ধান মিলারদের কাছে দেওয়া হবে চালে রূপান্তর করার জন্য।’

সম্মেলনে তিনি আরও বলেন ‘ আগে দেড় লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত ছিল। এ পর্যন্ত আমরা ৩০ হাজার টন ধান কিনতে পেরেছি। প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকেই আমরা ধান নিয়েছি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী যে কৃষকরা এখনও ধান দিতে পারেননি আমরা তাদের কাছ থেকে আরও আড়াই লাখসহ মোট চার লাখ টন ধান কিনতে চাই। এতেও যদি আমরা বাজারে প্রভাব দেখতে না পাই তবে প্রয়োজনে আরও বাড়াব।’

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন,  ‘বর্তমানে ১৪ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। এরপরও যদি ধান দাম না বাড়ে, তাহলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকের কাছে থেকে সরাসরি আরও ধান কিনবে সরকার। বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। আমন ও বোরোতে বেশি ফলন হওয়ায় ধানের দাম কমেছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন। গুদাম না থাকায় দেড় লাখ টন ধান কিনে বাজারে প্রভাব ফেলা যায়নি। চালকল মালিকদের কাছে সরকারের বকেয়া আছে ৩ শ’ কোটি টাকা। ফলে তাদের মাধ্যমে মিল গেইটে চাল কেনা সম্ভব নয়। তাদের টাকা দিলে তারা মিটারের নামে আবার সমস্যা করবে। তাই সরকার ৩ হাজার মিটার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার চাল রফতানির বিষয়ে ভাবছে। বিশ্ব কৃষি ও খাদ্য সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে তারা চাল নিতে সম্মত হয়েছে।’

উল্লেখ্য যে, সরকার এবছর বোরো মৌসুমে চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকার ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং কৃষকদের কাছ থেকে দেড় লাখ টন বোরো ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় শুরু হতে দেরির কারণে কৃষক উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামও পায়নি। বর্তমানে, ৩৬ টাকা দরে সেদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা দরে আতপ চাল এবং ২৬ টাকা দরে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে যা চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।