এবার ২৯ পণ্যের লাইসেন্স বাতিল ও স্থগিত করেছে বিএসটিআই

ঢাকা, ১১ জুন মঙ্গলবারঃ গত তিন মাস পূর্বে গোপনীয়ভাবে সংগৃহীত ২৭ ধরনের খাদ্যপণ্যের ৪০৬টি নমুনা নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করেছিল জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এসব নমুনা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রথম দফায় গত ২ মে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিএসটিআই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ১৮ টি ব্র্যান্ডের ৫২ পণ্য নিম্নমানসম্পন্ন। এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার, জব্দ, লাইসেন্স বাতিল ও স্থগিত করা হয় পরবর্তীতে।

আজ বিএসটিআই কর্তৃক প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘খোলা বাজার থেকে সংগ্রহ করা ৪০৬টি পণ্যের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় অবশিষ্ট ৯৩টি পণ্যের মান পরীক্ষা করে ২২টি ব্র্যান্ডের পণ্যকে ‘নিম্ন মানের’ বলে প্রমাণ মিলেছে। এসব পণ্যের মধ্যে ১৮টির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ১১টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।পণ্যগুলোর মানোন্নয়ন করে পুনঃঅনুমোদন ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রি-বিতরণ ও  বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার হতে বিরত থাকার জন্য এবং সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারীগণকে বিক্রিত মালামাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭২  ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করা হল।’

এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রথম ধাপে চিহ্নিত হওয়া ৪৩টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ২৬টির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও ১৬ পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। 

আজ, দ্বিতীয় ধাপে লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে দুটি পণ্যের আর স্থগিত করা হয়েছে ১১ পণ্যের লাইসেন্স। লক্ষ্যনীয়ভাবে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্কয়ারের মতো স্বনামখ্যাত কোম্পানির পণ্য নিম্নমানের তালিকাভুক্তি। এছাড়া বাজারে খাদ্যপণ্যের একচেটিয়া কারবারি হিসেবে পরিচিত প্রাণের পণ্যও রয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে লাইসেন্স বাতিল হওয়া পণ্য দুটি হচ্ছেঃ

১। থ্রি স্টার ফ্লাওয়ার মিলের থ্রি স্টার ব্যান্ডের হলুদের গুঁড়া

২। এগ্রো অর্গানিকের খুসবু ব্র্যান্ডের ঘি।

এবং লাইসেন্স স্থগিত হওয়া পণ্যগুলো হচ্ছেঃ

১। প্রাণ ডেইরির প্রাণ প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের ঘি

২। স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের রাঁধুনী ব্র্যান্ডের ধনিয়ার গুঁড়া ও জিরার গুঁড়া

৩। হাসেম ফুডসের কুলসন লাচ্ছা সেমাই

৪। যমুনা কেমিক্যালের এ-৭ ব্র্যান্ডের ঘি

৫। কুইন কাউ ফুডের গ্রিন মাউন্টেন বাটার অয়েল

৬। এস এ সল্টের মুসকান লবণ

৭। কনফিডেন্স সল্টের কনফিডেন্স লবণ

৮। জে কে ফুডের মদিনা লাচ্ছা সেমাই

৯। বিসমিল্লাহ সল্টের উট ব্র্যান্ডের লবণ, এবং

১০। জনতা সল্টের নজরুল লবণ।

এছাড়া আরও আটটি প্রতিষ্ঠান, বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছাড়াই পণ্য বাজারজাত করছিল। তাদের নাম প্রকাশ না করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানা যায়।