চট্টগ্রামে আইসিইউ ভর্তি, ঠাঁই হচ্ছেনা করোনা ওয়ার্ডেও

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে নতুন করোনা রোগীর। ফলে করোনা এবং আইসিইউ ওয়ার্ডে খালি নেই কোনো শয্যাই। গত বুধবার এক দিনেই করোনায় আক্রান্ত হন ৭১৩ জন। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।

জানা যায়, বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রেড, গ্রিন ও ইয়েলো জোন মিলে শয্যা আছে ২০৬টি, জেনারেল হাসপাতালে আছে ১৫০টি, বিআইটিআইডিতে আছে ৩২টি এবং বেসরকারি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে আছে ১০৯টি, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে আছে ৫০টি, পার্কভিউ হাসপাতালে ৫৬টি, সিএসসিআরে ২৪টি ও ন্যাশনাল হাসপাতালে ৫৪টি। কিন্তু বর্তমানে প্রায় সবগুলো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের সাধারণ ও আইসিইউ শয্যা রোগীতে পূর্ণ।

অন্যদিকে চট্টগ্রামে ছোট-বড় বেসরকারি হাসপাতাল আছে ৫০টি এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্র আছে প্রায় ৫৫টি। এসব কেন্দ্রে প্রতিদিন চেম্বার করেন প্রায় ১২০০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল রোগীতে পূর্ণ। গত বুধবার এক দিনেই ৭১৩ জন আক্রান্ত ও ৯ জন মারা যান। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, এবার একটু নিজের স্বার্থে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

ইউএসটিসির মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, প্রতিদিন ব্যক্তিগত চেম্বারে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী আসেন। গত এক সপ্তাহে আসা রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গের রোগী। সুতরাং এখনই মানুষকে সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়া জরুরি। না হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, হাসপাতালের ৫০টি সাধারণ ও ৭টি আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি আছে।  তাছাড়া প্রতিদিন নতুন করে রোগী এলেও শয্যা সংকটে ভর্তি করা যাচ্ছে না। জানা যায়, গত বুধবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হন ৬২ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৪৮ হাজার ৭৭২ জন এবং উপজেলায় ১৪ হাজার ১৪০ জন। ইতিমধ্যে মোট মারা গেছেন ৭৪৪ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৪৮৬ জন ও উপজেলায় ২৫৮ জন। চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।

Leave a Comment