সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানি হবে এলএনজি

৩৩ লাখ ষাট হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এই এলএনজি কেনা হবে সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান থেকে।

আজ বুধবার (১৪ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে ২৪ তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বাড়াতে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হয়। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের এম/এস. এওটি ট্রেডিং এজির কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৪৩৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার ২০৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে প্রতি ইউনিটের দাম পড়েছে ১৩ দশমিক ০৬৮ ডলার।’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন এসেননিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন প্রকল্পে ভেরিয়েশন বাবদ ৩ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৬ টাকা ব্যয় কমিয়ে ৯৯ কোটি ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬১ টাকার এম/এস বাংলাদেশ ফাউন্ডারি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের সঙ্গে সংশোধিত ক্রয়চুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিজেই করতে পারবে, এটি আমাদের কাছে আনার প্রয়োজন নেই। তারা না বুঝে আমাদের এখানে নিয়ে এসেছে। মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে ক্ষমতা দেয়া আছে, সেজন্য এটি আমরা ফেরত দিয়েছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভারতের আরআইটিইএস ও অ্যারভি অ্যাসোসিয়েটসের জয়েন্ট ভেঞ্চারকে ৯৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩৪ টাকায় নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি করতে পারলে ১০২ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে কাতার ও সৌদি আরব থেকে প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির বিষয়ে যে প্রস্তাবটি আমরা পেয়েছিলাম সেখানে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, সে কারণে আমরা দুটি প্রস্তাব ফেরত দিয়েছি।’

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের দুইটি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদিত আটটি প্রস্তাবের মধ্যে সাতটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৪১ কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯৭ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৭৫২ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার ৪৪৩ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক, ভারত থেকে ঋণ ৩ হাজার ৭৮৮ কোটি ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৪ টাকা।’