ভোক্তা অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি প্রচারণা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাতে বাজার অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও স্থিতিশীল রাখতে এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে সতর্ক করে অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনাকারী টিম।

ঢাকা মহানগরীর মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, ভাটারা, বনানী, গুলশান ১, গুলশান ২ এলাকার বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাজার, সুপারশপ এবং ফার্মেসীতে অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, উপপরিচালক জনাব আফরোজা রহমান, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব ফাহমিনা আক্তার, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব তাহমিনা বেগম ও জনাব মাগফুর রহমান। এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

তদারকিকালে মসলা, ভোজ্যতেল, চাল, পেঁয়াজ, আদা,চিনি, কাঁচা সবজি, ঔষধ, স্যানিটাইজার ও মাস্কসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সাথে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, অনিবন্ধিত ঔষধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও পণ্য, নকল মাস্ক -স্যানিটাইজার, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশে ৭২ টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,১১,০০০/- টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতকরণসহ স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এছাড়াও ঢাকাসহ সারাদেশে টিসিবি কর্তৃক সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম (ট্রাক সেল) তদারকি করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা এবং কোভিড মাহামারীর সময়ে বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও ভোক্তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সারাদেশে অধিদপ্তরের নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক কেনাবেচা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান তিনি।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।