রিপ্লেসমেন্টের নামে নতুন মাত্রার প্রতারণা

পণ্য রিপ্লেসমেন্ট দিতে বাধ্য থাকা সত্ত্বেও যখন পণ্য পাওয়া যায় না এবং তার সাথে সেই পণ্যের রিফান্ড পাওয়া না গেলে তখন সেই বিষয়টি একজন ক্রেতার কাছে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো। ঠিক এরকমই ঘটনা ঘটেছে ঢাকার মিরপুরের হাসান শাহরিয়ার অয়ন এর সাথে। রিপ্লেসমেন্টের নামে নতুন মাত্রার প্রতারণা

প্রায় সময় আমরা দেখে থাকি ইলেকট্রনিক্স বা গেজেট রিলেটেড শপগুলিতে পণ্য কেনার পর তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের কিছু  টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন থাকে যে দশ দিন অথবা পনেরো দিনের মাঝে যদি পণ্যে কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তারা সেটা রিপ্লেস করে দিবে।  এরকম প্রায় কম সময়ই হয়ে থাকে যে সাত দিন অথবা দশ দিনের মধ্যে পণ্যটি নষ্ট অথবা ডেমেজ হয়ে গিয়েছে। সেজন্যেই অনেকেই এই টার্মস এন্ড কন্ডিশন এর বিষয়টি ভালোভাবে মেনে থাকেন না। বিশেষ করে বিক্রেতারা এই বিষয়টিকে একদমই এভোয়েড করে যেতে চায়।

হাসান শাহরিয়ার অয়ন পন্য রিপ্লেসমেন্ট এবং রিফান্ড না পেয়ে গেজেট শপ(Gadget Shop) নামক একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেন। অভিযোগের বর্ণনামতে, তিনি গেজেট শপ থেকে স্যামসাং এম২১ ফোনটি ১৫ হাজার ৫00 টাকা দিয়ে ক্রয় করেন।  ফোনটি আনপ্যাক করার পর থেকে তিনি  লক্ষ্য করেন যে ফোনটি অটোমেটিক্যালি রিস্টার্ট নিচ্ছে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর কাজ করছে না ঠিকমত। তখন তিনি ফোনটিকে নিয়ে স্যামসাং কাস্টমার সার্ভিসে  যান এবং সেখান থেকে জানানো হয় যে ফোনটি আপনি যেখান থেকে কিনেছেন সেখান থেকে রিপ্লেস করাতে পারবেন যেহেতু ফোনটি বেশি দিন হয়নি কেনা হয়েছে।

রিপ্লেসমেন্টের নামে নতুন মাত্রার প্রতারণা

তারপর ফোনটি কেনার ১৩ দিন পর Gadget Shop এর কাছে ফোনটি রিপ্লেসমেন্টের কথা বললে তারা তা দিতে সম্মতি জানায় এবং সাত-দশ দিন সময় চায়। এভাবে করে প্রায় এক মাস পরেও ফোনটি তারা রিপ্লেস করে দেয় নি এবং ফোনের দাম টুকুও রিফান্ড করতেও অস্বীকৃতি জানায়। গেজেট শপ এর কাছে এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন ফোন এবং  টাকা রিফান্ড করা তাদের পলিসি বহির্ভূত। সেজন্যেই হাসান শাহরিয়ার অয়ন উপায় না পেয়ে ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেন এবং তার পণ্য কেনার ক্ষেত্রে যে খরচ হয়েছিল তা পুনরায় ফিরে পাওয়া এবং Gadget শপ এর বিরুদ্ধে পরিপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য ও অপরাধ এর ৫৩ ধারা অনুযায়ী অবহেলা, ইত্যাদি ধারা সেবা গ্রহীতার অর্থ স্বাস্থ্য জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো হলে অনূর্ধ্ব ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবার কথা উল্লেখিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: ইয়োগা ক্লাসের নাম করে হচ্ছে টাকা আত্মসাৎ – Voktakanthoরিপ্লেসমেন্টের নামে নতুন মাত্রার প্রতারণা