LadyBee এর ক্রেতা-বিক্রেতার দ্বন্দ্ব

ফেসবুক পেজ LadyBee ১৫ দিনের কথা বলে ২ মাস সময় নিয়েও সঠিক পণ্য পৌঁছায়নি ক্রেতার কাছে। এ নিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতার দ্বন্দ্ব। এছাড়া ভুল পণ্য ফেরত দিলেও বিনিময়ে ক্রেতাকে পাওনা টাকা ফেরত দেয়নি LadyBee

অনলাইনে পণ্য কিনে এমন হয়রানির শিকার হয়ে কুমিল্লার পুষ্পিতা সরকার LadyBee বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগের বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘আমি ৭৫০০ টাকা দিয়ে একটি ড্রেস অর্ডার করেছি LadyBee পেইজ থেকে | আমাকে ডেলিভারি টাইম দিয়েছিল ১৫ দিন। কিন্তু ড্রেস পাঠানো হয়েছে ২ মাস পরে। ২ মাস বড় কথা নয়। আমাকে অন্য ড্রেস পাঠানো হয়েছে যেটার দাম ৫০০টাকা ও হবে না।’

LadyBee এর ক্রেতা-বিক্রেতার দ্বন্দ্ব

তিনি আরও বলেন, ‘জামা পছন্দ না হলে তা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এমনটা জানানোর পর অর্ডার করি। যেহেতু আমার কাঙ্খিত জামা তারা দেয়নি তাই তাদের সাথে ফেরত দেয়ার জন্য যোগাযোগ করি। তাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ দিলে তারা বলেন আমাকে ভুল জমা দেয়া হয়েছে। তারা পরিবর্তন করে দিবে।’

তাদের এই ধরনের হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে পাওনা টাকা ফেরত চান বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, ‘জামা রিটার্ন করার পরে তা চেক করে আমাকে টাকা রিটার্ন করবে বলে জানান LadyBee। আমি এটাও মেনে নিয়ে জামা ফেরত দেই। তবে আমার টাকা ফেরত পাইনি।’

এদিকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান বলছে, ফেরত দেওয়া জামায় তারা কিছু ফুটো পেয়েছে। এর কারণে তারাও ফেরত দেওয়ার জামাটি নিতে অস্বীকার করছে।

কিন্তু অভিযোগকারী বলছেন, যে তার জামা পছন্দ হয়নি বলে সেই জামা পড়ে নি বরং ফেরতের জন্যই কুরিয়ার সার্ভিস কে দিয়েছে।

ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে ক্রেতাকে এই জামা ফুটো হওয়ার বিষয়ে বললেও ফুটো হওয়ার কোনো প্রমাণ দেয়নি তারা। বরং তারা এই জামা আবারও ক্রেতাকে ফেরত দিবে বলে জানায়। এমনকি কোন টাকা দিবে না বললে ক্রেতা-বিক্রেতার দ্বন্দ্ব হয়।

অভিযোগকারী বলেন, ‘আমি এ ড্রেস কেন নিব যেটা আমার পছন্দ না। আমি টাকা চাওয়াতে ওরা টাকা দেবে না বলছে। অবশেষে পুলিশের কাছে কমপ্লেন করব বললে তারা আমাকে পেজ থেকে ব্লক করে দেয়।’

২০০৯ সালে প্রণীত ভোক্তা অধিকার আইনে মোট ৮২টি ধারা রয়েছে।

৪৪ ধারায় উল্লেখ আছে, পণ্যের মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করলে অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন ইত্যাদি।

ভোক্তাদের হয়রানি বন্ধে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাথে কাজ করছে ভোক্তাকণ্ঠ। পণ্য কিনে প্রতারিত হলে অভিযোগ দায়ের করুন।

ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন যে কোন অভিযোগে ভোক্তাদের প্রতিকার দিতে পাশে আছে ভোক্তাকণ্ঠ

আরও পড়ুনঃ পাঠাও কুরিয়ারের কারণে অনলাইন ব্যবসার ক্ষতি

আরও পড়ুনঃ ক্রেতাদের কাছে আদিয়ান মার্ট একটি প্রতারক প্রতিষ্ঠান