ইভ্যালি চালু রাখতে হাজার গ্রাহকের স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইভ্যালির ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন এক হাজারের বেশি গ্রাহক। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) কাছে স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি দিয়ে তারা এই দাবি জানান।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইভ্যালির ব্যবসা কার্যক্রম চালু রাখার দাবিতে প্রতিজন গ্রাহকই স্বাক্ষরের কপি দিয়েছেন। সঙ্গে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। যেখানে তারা সাত দফা দাবি তুলে ধরেছেন।

ইভ্যালির ক্রেতা বিক্রেতাদের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন ও কো-সমন্বয়ক সাকিব হাসান স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আমরা ইভ্যালির সঙ্গে প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক ও প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি বিক্রেতা এবং ৫ হাজারের অধিক স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

ইভ্যালির কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে বাংলাদেশের জিডিপি বিশ্বের প্রথম দশ দেশের মধ্যে থাকবে। আমরা জানি কয়টি অভিযোগের ভিত্তিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন এবং সিইও রাসেল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আছেন। যা অনেক দুঃখজনক। ব্যবসার পরিধি বড় হলে কিছু অভিযোগ ও সমন্বইয়হীনতা থাকতে পারে।

আমরা মনে করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নেতৃত্বে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, মার্চেন্ট, ভোক্তাসহ সব প্রতিনিধি ও ইভ্যালি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই সমন্বয়হীনতা বা সংকট থেকে উত্তরণ করা সম্ভব।

তা নাহলে আমরা প্রায় ৭৫ লাখ পরিবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পথে বসে পড়ব। আমাদের বিশ্বাস এই সংকট সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করে সম্ভব।

সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন ও রাসেলকে ‍মুক্তি দিতে হবে। রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে। এসক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার আগে অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি দিতে রাসেল সময় চেয়েছে আমরা তাকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ই-ক্যাব পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট এবং ভোক্তা প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। করোনাকালীন সময় বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দিতে হবে।

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাধ্যতামূলক লাইসেন্স নিতে হবে ব্যাংক গ্যারান্টিসহ। ই-কমার্স বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান হচ্ছে। এ সেক্টরকে সরকারিভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।