ইলিশ রক্ষার অভিযানে ইউএনওর নৌযান ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের সিকদার বাড়ি ঘাট সংলগ্ন গজারিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে নামায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্পিডবোট ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকজন জেলে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার (ফাইটার) দিয়ে ইউএনওর স্পিডবোটকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে স্পিডবোটে থাকা দুই আনসার সদস্য আঘাত পেয়ে নদীতে পড়ে যান। তাদের উদ্ধার করা হলেও এক আনসার সদস্যের আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) নদীতে তলিয়ে যায়।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত আনসার সদস্য মো. ইব্রাহিম ও মো. তুহিনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে বরিশাল রিভার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের ডুবুরিরা গজারিয়া নদীতে তল্লাশি শুরু করেছেন।

মেহেন্দিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন মাসুদ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি একটি স্পিডবোট নিয়ে অভিযানে বের হন। তার সঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, তিনজন আনসার সদস্যসহ মোট আটজন ছিলেন। তারা স্পিডবোটে করে নদীতে টহল দিচ্ছিলেন। বামনার চর থেকে ফেরার পথে দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের সিকদার বাড়ি ঘাট সংলগ্ন গজারিয়া নদীতে বেশ কয়েকটি মাছ ধরার ট্রলার (ফাইটার) দেখে তারা স্পিডবোটের গতি কমিয়ে দেন। এ সময় হঠাৎ একটি ফাইটার তাদের স্পিডবোটে সজোরে ধাক্কা দেয়। ওই ট্রলারে চার থেকে পাঁচজন জেলে ছিলেন। ট্রলারের ধাক্কায় আনসার সদস্য মো. ইব্রাহিম ও মো. তুহিন ছিটকে নদীতে পড়ে যান। পরে তাদের স্পিডবোটে তোলা হয়।

তিনি আরও বলেন, আনসার সদস্য ইব্রাহিম ও তুহিনের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাদের স্পিডবোটে তোলার পর দেখা যায় তুহিনের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রটি নেই। সেটি নদীতে তলিয়ে গেছে। নদীতে পড়ে যাওয়া দুই আনসার সদস্যই আঘাত পেয়েছেন।

ঘটনার সময় স্পিডবোটে থাকা মেহেন্দিগঞ্জের উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন বলেন, ইলিশ শিকারের অপরাধে সাতজন জেলেকে পুলিশ আটক করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের সহযোগীরাই স্পিডবোটে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। ট্রলারটি দ্রুতগতিতে একটি খালের মধ্যে ঢুকে পড়ে।

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই ট্রলারে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।