বিক্রির সারিতে ১০ মাস আগের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম আজিমপুর কবরস্থান মোড়। ঘনবসতি পূর্ণ এই এলাকাটি পুরান ঢাকার অংশ। আশপাশের আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের জরুরী ওষুধের প্রয়োজন মেটায় স্থানীয় ফার্মেসীগুলো। অপেক্ষাকৃত বড় লিটন ফার্মেসীতেই ক্রেতার আধিক্য প্রায় সার্বক্ষণিক।

বুধবার আজিমপুর কবরস্থান মোড়ে সংলগ্ন এই লিটন ফার্মেসীতে যান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ঢাকা জেলা) এর সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে তিনি আসলে সেখানে একটি অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

লিটন ফার্মেসীর পক্ষ থেকে এসময় দাবি করা হয়, দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন ওষুধ পাওয়া যাবে না।  তার দাবির সত্যতা যাচাই করতে আব্দুল জব্বার মন্ডল নিজেই ফার্মেসীর তাকগুলোতে থরে থরে সাজানো কিছু ওষুধ থেকে দু’একটি তুলে নিয়ে দেখতে থাকেন। এক পর্যায়ে বের হয়ে পড়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ কয়েকটি ওষুধ। শুরু করা হয় আনুষ্ঠানিক অভিযান। বের হতে থাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের বক্স, মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনহেলার (ব্রঙ্কোডায়ালেটার), সাপোজিটর। কিছু ইনজেকশনও পাওয়া যায়।

অভিযানকালে ফার্মেসী থেকে ১০ মাস আগে শেষ হওয়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধও পাওয়া যায় বেশ কিছু । যা বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল সামনের ওষুধের তাকেই।

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫১ ধারায় দোষী সাবস্ত করে ফার্মেসীর মালিককে তাৎক্ষণিক ৩০ হাজার টাকা জরিমানা জরা হয় । দোকান মালিক ৩০ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করে নিষ্কৃতি পেলেও মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল ওষুধ জব্দ করা হয়।

একই সময় আজিমপুর কবরস্থান মোড়ের কয়েকটি মিষ্টির দোকানেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। আনন্দ জল খাবার নামের একটি মিষ্টির দোকানে পরিচ্ছন্নতার পরিবেশ মান সম্পন্ন না হয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজি বাজারে খুচরা বিক্রয় মূল্য যাচাই করেন অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া সহকারি পরিচালক।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ঢাকা জেলা) সহকারী পরিচালক মো: আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এই অভিযান অব্যহত থাকবে। লিটন ফার্মেসীর মালিককে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এমন ভুল করলে আরও বড় শাস্তির আওয়াতায় আনা হবে এই ফার্মেসীকে।

আরইউ