বিদেশফেরত ২ লাখ কর্মী পাবেন সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে

দেশের ৩০ জেলায় প্রবাসীদের জন্য ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। এসব ওয়েলফেরার সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ২ লাখ কর্মী পাবেন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে কোভিডফেরত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন প্রজেক্টের সাবসিডি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদিশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

প্রবাসী কল্যাণসচিব বলেন, ‘আমরা রিইন্টিগ্রেশন বড় একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছি। গতকাল বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ইআরডির ৪২৭ কোটি টাকার একটা চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির একটা সাবসিডি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান সই করে পাঠিয়ে দেবেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৩০টি জেলায় ৩০টি ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এগুলো করবে। প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য এটি করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বিদেশ প্রত্যাগত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশান করব। তারা যেন সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা পান সেটার জন্য আমরা সহযোগিতা করব।’

মুনিরুছ সালেহীন জানান, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে কোভিডফেরত কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন প্রজেক্ট থেকে এসব ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হবে। ৪২৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প থেকে স্থাপন করা ওয়েলফেয়ার সেন্টারে কোভিডফেরত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে যাচাই-বাছাই করে ২ লাখ কর্মীকে দেওয়া হবে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রণোদনা। এক্ষেত্রে বয়স্ক, নারী ও খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন যাদের তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়া এ প্রকল্প থেকে ২৫ হাজার ৫০০ বিদেশ ফেরতকর্মীকে দেওয়া হবে আরপিএম তথা রিকোগনেশান অব প্রাইম লার্নিং সার্টিফিকেট।

৪২৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প তিন বছরের জন্য জানিয়ে সচিব বলেন, আশা করছি আমরা চলতি বছরের শেষ নাগাদ অথবা আগামী বছরের শুরুতেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।

এ প্রকল্পের উপকারিতা প্রসঙ্গে সচিব জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসীদের একটা ডাটাবেজ তৈরি হবে। এতে করে জানা যাবে কারা কবে দেশে ফিরেছেন, কোথায় থেকে ফিরেছেন। এছাড়া এ ডাটাবেজ থাকলে ভবিষ্যতে তাদের সহযোগিতা করতে সুবিধা হবে।