আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৪ জনের জামিন ফের নাকচ

চুয়াডাঙ্গায় গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবাইর সিদ্দিকীসহ (সিইও) চারজনের জামিন আবেদন আবারও নাকচ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মানিক চন্দ্র দাস জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদিয়ান মার্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জুবায়ের সিদ্দিকী মানিকসহ তিনজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়াও বয়স বিবেচনায় একজনকে জেল গেটে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। সোমবার (৮ নভেম্বর) রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক এ.কে.এম. জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, মঙ্গলবার তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তাদের চারজনেরই জামিন নাচক করে আদালতে পাঠানোর আদেন দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, সোমবার (৮ নভেম্বর) তিনদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা গ্রাহকের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। একটু সময়ের ব্যাপার। সময় দিলে সবার টাকা পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে তারা ।

উল্লেখ্য, প্রতারণার শিকার আতিকুর রহমান উজ্জ্বল নামে এক গ্রাহক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৪৮০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) র‌্যাব-৬ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ও খুলনা থেকে প্রতিষ্ঠানের সিইও জুবায়ের সিদ্দিকী মানিক, মহা-ব্যবস্থাপক মাহমুদ সিদ্দিকী রতন, উপদেষ্টা আবু বক্কর সিদ্দিক ও ম্যানেজার মিনারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরদিন শনিবার দুপুরে তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব।

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদিয়ান মার্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জুবায়ের সিদ্দিকী মানিকসহ তিনজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়াও বয়স বিবেচনায় উপদেষ্টা আবু বক্কর সিদ্দিককে জেল গেটে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।