নিজস্ব খনিজ সম্পদ আহরণ ও উত্তোলনে সুনির্দিষ্ট ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক: খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ব্যবস্থাপনার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে তা দ্রুত সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যে শনিবার ভার্চুয়াল কনফারেন্সে  মাধ্যমে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর অনুকূলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের আরএডিপি বরাদ্দ ও মার্চ মাস পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় যুক্ত হয়ে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে পাথরের চাহিদা রয়েছে, সরবরাহ চ্যানেল ভালো করা গেলে দেশের সর্বত্র পাথরের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। পুরানো গ্যাস ফিল্ডগুলোও হরিজেন্টাল বা আনকনভেনশনাল ওয়ে ড্রিলিং করার বিষয়টিও যাচাই বাচাই করা প্রয়োজন।

নিজস্ব খনিজ  সম্পদ আহরণ ও উত্তোলনে সুনির্দিষ্ট ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রকল্প নির্ধারণ করতে হবে। গ্যাস উত্তোলন, কম্প্রেসার ক্রয়, পাইপলাইন নির্মাণ বা অন্যান্য প্রকল্পে অগ্রাধিকারের স্তর নির্ধারণ করে দ্রুত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতায় জিওবি ও বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট ৮টি, নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ১৬টি ও জিডিএফ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ৮টি (মোট ৩২টি)  প্রকল্প রয়েছে বলে জানানো হয় সভায়। প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন সমস্যা হলে দ্রুততার সাথে দ্বি-পাক্ষিক, ত্রি-পাক্ষিক বা বহু-পাক্ষিক সভা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে বলেও জানান তিনি।

এই অনলাইন সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আনিছুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান সামছুর রহমান ও পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ উপস্থিত ছিলেন।