পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহে পর অবশেষে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে। কয়লা চালিত আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মধ্যে এই কেন্দ্রটি প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আসলো।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখা হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা প্রতিশ্রুত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছি।’ এসময় তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যার যার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাসময়ে সম্পন্ন করার অনুরোধ করেন। এছাড়াও তিনি করোনার এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) কার্যক্রমকে স্বাগত জানান।’

প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা বলেন, ‘গত একমাস আমরা পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছিলাম। বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হলো। পাশাপাশি এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও চলছে। তবে করোনার কারণে কাজের গতি কমে গেছে। আগামী জুন মাসে ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদনে আসার কথা থাকলেও সম্ভবত করোনা পরিস্থিতির কারণে দেরি হয়ে যাবে। আগে যেখানে চার হাজার শ্রমিক কাজ করতো, সেখানে এখন কাজ করতে পারছে মাত্র দেড় হাজারের মতো শ্রমিক।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (বাংলাদেশ) ও সিএমসি (চীন) এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পটুয়াখালীর পায়রায় ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুইটি ইউনিটে মোট এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী সদর হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলায় নবনির্মিত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে যুক্ত হয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ আসবে।

প্রসঙ্গত, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়েছিল।