পাইকারি বাজারে নির্ধারিত মূল্যে গরম মসলা বিক্রি হলেও বিপরীত খুচরা বাজারে

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় দাম নির্ধারণ করে দেয়। দফায় দফায় আলোচনায় বসে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তবে পাইকারি বাজারে নির্ধারিত মূল্যে গরম মসলা বিক্রি হলেও খুচরায় চড়া রয়েছে দাম। মসলাভেদে খুচরা-পাইকারিতে দামের ব্যবধান ১৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (১৯ মে) রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর বাজার ঘুরে এমনই তথ্য জানা যায়। এর আগে গত সপ্তাহে মসলার মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্যমন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্য অনুযায়ী পাইকারিতে জিরা ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি, দারুচিনি (চিন) ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা কেজি, দারুচিনি (ভিয়েতনাম) ৩৫০ টাকা থেকে ৩৭০ টাকা কেজি, লবঙ্গ ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা কেজি, এলাচ ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা কেজি, গোলমরিচ (সাদ) ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজি, গোলমরিচ ৩৬০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হবে। 

মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে জিরা ৩৪০ থেকে ৩৪৫ টাকা, দারুচিনি (চায়না) ৩১০ থেকে ৩১৫ টাকা, ভিয়েতনাম ৩৬০ থেকে ৩৬৫ টাকা, লবঙ্গ ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, এলাচ ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মসলাভেদে খুচরা-পাইকারিতে দামের ব্যবধান ১৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। খিলগাঁও, মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর এলাকায় এদিন প্রতিকেজি জিরা মানভেদে (খুচরা) ৪৫০  থেকে ৫৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, লবঙ্গ ৯৫০ থেকে ১১৫০ টাকা, এলাচ ৩৬০০ থেকে ৪২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।