করোনা যুদ্ধে জয়ী হলেন ভোক্তা-অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: করোনা যুদ্ধে জয়ী হলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা। রোববার (৩১ মে) তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। এর আগে গত ১৮ মে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি।

রোববার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের করোনা নেগেটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা। এছাড়া তার ছেলেরও করোনা রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে ডিজি বাবলু কুমার লেখেন, ‘‌দীর্ঘ ১৭ দিন আমি এবং আমার পুত্র করোনার সাথে যুদ্ধ করে আজ করোনা মুক্তির ছাড়পত্র পেলাম। যে সকল শুভানুধ্যায়ী আমাদের জন্য দোয়া করেছেন সব সময় আমার পাশে ছিলেন তাঁদের সকলের প্রতি আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একইসাথে সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।’

অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মহাপরিচালকসহ করোনায় আক্রান্ত হওয়া অধিদপ্তরের আরও তিন কর্মকর্তা করোনা যুদ্ধকে জয় করেছেন। তাদেরও কোভিড-১৯-এর ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। তারা হলেন-অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা, সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা ও রজবী নাহার রজনী।

অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আক্রান্ত হওয়ার আগে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত অফিস করেছেন তারা। রোজা ও ঈদুল ফিতরে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিদিন মাঠ অভিযান তারা অংশ নিতেন। ডিজি বাবলু কুমার সাহা নিজেও করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে অভিযান করেছেন। বিতরণ করেছেন মাস্ক।

অন্যদিকে গত ১৩ মে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তৃতীয় দফায় পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সবমিলিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহাসহ মোট ১৫ জন আক্রান্ত হন করোনায়। তবে আজকে চারজন সুস্থ হওয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১-তে নেমে আসল।

এখন পর্যন্ত যারা আক্রান্ত আছেন তারা হলেন উপ-পরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, আফরোজা রহমান, সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, তাহমিনা বেগম, মাহমুদা আক্তার, সহকারী হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, নমুনা সংগ্রহকারী আব্দুল কুদ্দুছ, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আব্দুল ওয়াহেদ, মহাপরিচালকের গাড়িচালক সোহেল আহমেদ, প্রধান কার্যালয়ের গাড়িচালক মিলিয়া খানম এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের গাড়িচালক মো. শরীফ মিয়া।