ওষুধ খাতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের অনীহা

বাংলাদেশের ওষুধ ও রসায়ন খাতে বেশীরভাগ কোম্পানীগুলোতে স্বচ্ছতার অভাবের কারণেই বিদেশী বিনিয়োগ কমে এসেছে।বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং ভালো মুনাফার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় যা আমাদের দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো পূরণ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে তারা।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ কম থাকার কারণ হিসেবে বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩১টি হলেও, সবার ব্যবসায়িক অবস্থা ভালো না।পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানির সংখ্যা ৩১টি। এর মধ্যে ১৯টিতেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কোনো বিনিয়োগ নেই। বাকি ১২টি কোম্পানির মধ্যে তিনটিতে বিদেশিদের বড় বিনিয়োগ আছে। ৯টিতে বিদেশিদের বিনিয়োগ থাকলেও তা অনেকটাই নামমাত্র। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো যেন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জন্য টানতে পারছে না।

বড় কোম্পানিগুলো ভালো ব্যবসা করতে পারলেও ছোটগুলো কোনো রকমে টিকে রয়েছে। এছাড়া অনেক কোম্পানির স্বচ্ছতার অভাব আছে। এসব কারণেই হয়তো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না কোম্পানি। তারা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অত্যন্ত চালাক। বিনিয়োগের আগে কোম্পানির অতীত-বর্তমান সব ধরনের তথ্য ভালো করে ক্ষতিয়ে দেখেন তারা। তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনার মূলে থাকে মুনাফার পরিকল্পনা। তাছাড়া বিদেশিদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও থাকে। সে কারণে যে কোম্পানির গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) ভালো এবং বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দেয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সেদিকেই ছোটেন।

বিডা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরে গড়ে ৩০০ কোটি ডলার করে এফডিআই আসছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে ১৯০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। সবশেষ প্রতিবেদনে এই অবস্থান ১৬৮তম। এমন বাস্তবতায় বিদেশে বাংলাদেশের অবস্থান শক্ত করতে বিবিএফকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার।

বিবিএফের চেয়ারম্যান মাসুদ এ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বৈশ্বিক একটা নেটওয়ার্ক আছে। আমরা বিদেশি দূতাবাসগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব। বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) সেবাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হবে।’

AAAS