৫৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান: এনজেপি-ঢাকা রেল চলাচল

দীর্ঘ ৫৬ বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে এই রুটের রেল যোগাযোগ।২৬ মার্চ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধন হওয়ার কথা। সেই লক্ষ্যে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের ১-এ প্ল্যাটফর্মটিকে এই ট্রেনটির জন্য নির্দিষ্ট করে কাজ চলছে।আর কয়েক দিনের মধ্যেই নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রয়ে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হতে চলেছে।এই প্ল্যাটফর্মে যতক্ষন বাংলাদেশের ট্রেন থাকবে ততক্ষন অন্যগাড়ি বা যাত্রী কাওকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই রেল সূত্রে জানা গেছে। সপ্তাহে সোম এবং বৃহস্পতিবার এই ট্রেনটি এনজেপি থেকে ছাড়বে। পাশাপাশি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়বে মঙ্গল এবং শুক্রবার।

এইসব পরিত্যক্ত রেলপথকে পুনরুজ্জীবিত করতে ২০১৯ সালে প্রায় ৮০ কোটি ১৭ লাখ টাকার একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ সরকার। ১৯৬৫ সালের আগে হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রেন চললেও ভারত-পাক যুদ্ধের পর সেই রুট বন্ধ হয়ে যায়। লাইন তুলে ফেলা হয়। ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দেশের সংযোগকারী লাইন ফের চালু করার উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালে হলদিবাড়ির বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত নয় কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইন তৈরি করে বাংলাদেশ সরকার।বাংলাদেশবাসীকে এখন কলকাতা দিয়ে ঘুরপথে শৈল শহর দার্জিলিং যেতে হয়। রেলপথ চালু হলে সরাসরি কম সময়ে তারা সেখানে পৌঁছতে পারবেন। তবে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কোনো ভিসা অফিস না থাকায় উত্তরবঙ্গবাসীর পক্ষে কলকাতায় গিয়ে ভিসা করিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ যেতে হবে। যা যথেষ্ট খরচ ও সময় সাপেক্ষ।

এবার ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। সেকারণেই ট্রেন পরিষেবার সূচনার জন্য এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এনজেপি ও ঢাকার মধ্যে কোনও স্টপেজ থাকছে না। চিলাহাটিতে দু’দেশের রানিং স্টাফ পরিবর্তন হবে। কাটিহারের রেক দিয়েই এই ট্রেনটি চলবে। মোট ৫৯৫ কিলোমিটার যাত্রা পথের মধ্যে ভারতের অংশে পড়ছে মাত্র ৬১ কিলোমিটার। বাকি ৫৩৪ কিলোমিটারই বাংলাদেশের অংশে। দীর্ঘ যাত্রা পথে পড়বে পার্ব্বতীপুর, টাঙাইল সহ সেদেশের ১৫টি স্টেশন। কিন্তু কোথাও থামবে না ট্রেনটি।