বাজারে ভরপুর পণ্য, তবু বাড়ছে দাম

নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি বেড়েছে। সরবরাহ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক। ফলে মোকাম থেকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভরপুর রয়েছে সব ধরনের পণ্য। তারপরও আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে রোজানির্ভর পণ্যসহ একাধিক পণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে। দুই মাস আগে বেড়ে যাওয়া ছোলা, ডাল, চিনি, দুধ, মাছ ও সব ধরনের মাংস বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশে করোনার বিস্তার রোধে সরকারের লকডাউনের খবরে বাজারে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ায় দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ভোক্তারা পড়েছেন বিপাকে।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ও সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে। তাই অতিরিক্ত পণ্য না-কেনার জন্য ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। রোববার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আব্দুল লতিফ বকসীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এ বছর ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়েছে টিসিবি। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে সেগুলোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ টিসিবির মজুত রয়েছে। সেক্ষেত্রে রমজান উপলক্ষ্যে সংস্থাটি সাশ্রয়ী মূল্যে ২৬ হাজার ৫০০ টন ভোজ্যতেল, ১৮ হাজার টন চিনি, ১২ হাজার টন মসুর ডাল, ৮ হাজার টন ছোলা ও ৬ হাজার টন পেঁয়াজ বিক্রি করবে, যা গত বছরের চেয়ে বেশি। এসব পণ্য এখন বিক্রি চলছে।
যুগান্তরের এক প্রতিবেদন মতে, গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রোজা সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম। টিসিবির তথ্যমতে, রাজধানীর খুচরা বাজারে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রতি কেজি চাল ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। অ্যাংকর ডাল ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ, ভোজ্যতেল সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, চিনি ২ দশমিক ২২ শতাংশ, প্রতি কেজি প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি গত বছর একই সময়ের তুলনায় ৪৭ দশমিক ৬২ ও দেশি মুরগি ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, হলুদ ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, গরুর মাংস শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।