শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ-আদাবাহী কন্টেইনার পড়ে আছে

বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখিয়ে দাম বাড়ানো হলেও চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে বিদেশ থেকে আনা শত শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ-আদা এবং বিভিন্ন ফল বোঝাই দু্ই হাজার কন্টেইনার। এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্দরের জায়গা দখল করে রাখা এ ধরণের সাড়ে তিনশো কন্টেইনার নিলামে তুলতে কাস্টমসকে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

একইসঙ্গে বাকি কন্টেইনার দ্রুত খালাস করতে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।সাম্প্রতিক সময়ে সরবরাহের ঘাটতি দেখিয়ে বাড়নো হয়েছে পেঁয়াজ এবং আদার দাম। একইসঙ্গে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চাহিদা বাড়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সব ধরণের বিদেশি ফলের দাম।

বন্দরের ইয়ার্ডে সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এসব মসলা, ফলসহ বিভিন্ন পণ্য বোঝাই দুই হাজার কন্টেইনার পড়ে রয়েছে বলে জানান শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আবদুল্লাহ জহির।এক মাস বা তার আগে বিদেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা রেফার কন্টেইনারগুলোর মধ্যে ৭০টিতে আদা ও পেঁয়াজ এবং আরও অন্তত ৮০টিতে বিভিন্ন ফল রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বন্দর কর্মকর্তারা। সেগুলো খালাসে আমদানিকারকদের তেমন সাড়া মিলছে না।

বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ৪০ ঘনফুট সাইজের এসব কন্টেইনারের প্রতিটিতে পণ্য রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ মেট্রিক টন। সে হিসাবে দুই হাজার কন্টেইনারে ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পণ্য রয়েছে। মূলত বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য বন্দরকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ক্যাব সভাপতি এস এম নাজের হোসেন।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জট কমাতে সাড়ে তিনশো পণ্য বোঝাই রেফার কন্টেইনার নিলামের পাশাপাশি বাকি কন্টেইনার দ্রুত খালাসের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক।চট্টগ্রাম বন্দরে আসা প্রতিটি কন্টেইনার বিনা মাশুলে ৪ দিন পর্যন্ত ইয়ার্ডে রাখার সুযোগ পায় আমদানিকারকরা। কিন্তু আমদানিকৃত পণ্যের মান ঠিক রাখতে রেফার কন্টেইনারের ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করতে হয় বন্দর কর্তৃপক্ষকে।