মুভমেন্ট পাস নিয়ে বের হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে

দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন চলছে। তবে রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদ, রাসেল স্কয়ার এসব এলাকার সড়কে সকাল থেকেই ছিল প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি দেখা গিয়েছে।

বিধিনিষেধে মুভমেন্ট পাস নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। পুলিশ বলছে, আগের তুলনায় অনেক বেশি মানুষের কাছে এখন মুভমেন্ট পাস আছে।বিভিন্ন সড়কের চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর মধ্যে যারা মুভমেন্ট পাস কিংবা অফিসিয়াল পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদেরকে পড়তে হচ্ছে মামলা ও জরিমানার মুখে।

ইন্সপেক্টর মাহফুজ আলম বলেন, গতকালের চেয়ে আজ গাড়ির সংখ্যা সকাল থেকেই বেশি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি যেন সড়কে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাচল নিশ্চিত করা যায়। এখন আগের চেয়ে পাস নিয়ে বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা মানুষের বেড়েছে। রাস্তায় যারা বের হচ্ছেন বেশিরভাগেরই মুভমেন্ট পাস রয়েছে। তারপরও কিছু মানুষ আছে যারা সঙ্গত কারণ দেখাতে পারছেন না। আমরা তাদেরকে সতর্ক করছি এবং ক্ষেত্রবিশেষে জরিমানা করছি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) জাহিদুল আলম সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চাইলেন সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে।

তিনি বলেন, এখনও আমরা অনেককে পাচ্ছি, যারা অযথাই বাইরে বের হচ্ছেন। আজকেও আমরা কয়েকজনকে পেয়েছি, যাদের মুভমেন্ট পাস নেই এবং উপযুক্ত কোনো কারণ দেখাতে পারেননি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি। যেহেতু বিধিনিষেধের সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে আমাদের চেকপোস্টের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং এক্ষেত্রে কোনো শিথিলতার সুযোগ নেই।

অপরদিকে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের তৎপরতাও লক্ষ্য করা গেছে। মহল্লার ভেতরের দোকানপাট এবং বাজারে সাধারণ মানুষ যেন স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ না করে তা নিশ্চিত করতে থানা পুলিশের টহলও অব্যাহত রয়েছে।