রোববার থেকে ‘শিথিল’ হতে পারে লকডাউন

চলমান লকডাউনের মেয়াদ একই শর্তে আরও এক সপ্তাহ বাড়ছে। তবে, সময় বাড়লেও কিছু শর্ত শিথিল করা হতে পারে।২৫ এপ্রিল রোববার থেকে ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে।

একই সঙ্গে ‘জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে’ গণপরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে পারে। ঈদের সময় গ্রামে যাতায়াতের জন্যও লকডাউন শিথিল করবে সরকার। সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

সূত্রমতে, আগামী রোববার অথবা সোমবার থেকে (২৫-২৬ এপ্রিল) দোকানপাট ও বিপণি বিতান সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে। এছাড়া অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে পারে গণপরিবহনগুলোও। যদিও দ্বিতীয় মেয়াদের সর্বাত্মক লকডাউন শেষ হবে ২৮ এপ্রিল। তবে তার আগেই কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়ে ভাবছে সরকার।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি তিনি যেন আগামী সোমবার সারাদেশের দোকান ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি ফেলবেন না। এর আগেও আমাদের কোনও দাবি তিনি ফেলেননি।’

লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসসহ সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা যুক্ত ছিলেন। সভা শেষে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, সভায় একাধিক সচিব বলেন লকডাউন থাকবে তবে মানুষের জীবন-জীবিকার সুযোগ রাখতে হবে। ফলে আজ মঙ্গলবার লকডাউনের প্রজ্ঞাপন আগের মতো বিধিনিষেধ উল্লেখ করে জারি হবে, কিন্তু বৃহস্পতিবারের মধ্যে কিছু শর্ত শিথিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। এ সময় দোকানপাট-শপিংমল খোলা রাখাসহ বেশকিছু শর্ত শিথিল করবে সরকার।

২৮ এপ্রিলের পরও লকডাউনের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, সংক্রমণ ম্যানেজ করাটা আমাদের উদ্দেশ্য, পরিস্থিতি কী হয় সেটা বিবেচনা করেই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা মনে করছি, আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনে সংক্রমণটা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। তবে জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের ভাবনাও সরকারের রয়েছে।