ভোক্তাস্বার্থে জেনে নিন কীভাবে পরতে হবে কাপড়ের মাস্ক

যখন নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করছেন অনেকে, তখন কাপড়ের মাস্ক বেছে নিচ্ছেন বহু মানুষ। যদিও কাপড়ের মাস্ক আদৌ সুরক্ষা দিতে পারে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। যদিও কাপড়ের মাস্কেই আটকাবে করোনা, সম্প্রতি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে একগুচ্ছ সতর্কবিধি।


WHO-এর কথায়, কাপড়ের মাস্ক বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এক্ষেত্রে নিয়ম মেনে মাস্ক না পরলে নেমে আসতে পারে বড় বিপদ। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর রাখার কথা বারবার বলে এসেছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথায়,কাপড়ের মাস্ক পরলে মাস্ক ছোঁয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে হাত। নোংরা হাতে কিছুতেই ছোঁয়া যাবে না মাস্ক। এক্ষেত্রে মুখের দুপাশ যেন কোনওভাবে ফাঁকা না থাকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। নাক, মুখ ও থুতনি সম্পূর্ণ ঢাকতে হবে মাস্কে। ঘনঘন মাস্কে হাত দিলে হাতের জীবানু মাস্কে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে বারবার মাস্কে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মাস্ক খোলার পরেই তা মুখের থেকে সরিয়ে নিতে হবে। কানের উপর থেকে বা মাথার পেছন দিয়ে খুলতে হবে মাস্ক।


সার্জিক্যাল মাস্ক একবার ব্যবহার করা গেলেও কাপড়ের মাস্ক পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু কত সময় অন্তর পরিষ্কার করতে হবে কাপড়ের মাস্ক! WHO জানাচ্ছে, দিনে একবার গরম জলে সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে মাস্কটি। মাস্ক ভিজে না গেলে একবার পরার পর প্লাস্টিকের থলিতে রেখে তা আবার ব্যবহার করা সম্ভব। মুখ থেকে মাস্ক খোলার পরেই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে হাত।


কাপড়ের মাস্ক কতটা সুরক্ষা দেবে করোনার থেকে, এই প্রশ্ন রয়েছে অনেকেরই মনে। WHO-এর তরফে জানানো হয়েছে, কাপড়ের ত্রিস্তরীয় মাস্ক করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। এক্ষেত্রে মাস্কের বাইরের অংশ পলিয়েস্টারের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি হলেও ভেতরের অংশে সুতির কাপড় ব্যবহার করা ভালো। তা একদিকে যেমন আরামদায়ক, অন্যদিকে ড্রপলেটস শুষে নিতে সক্ষম সুতির কাপড়।