সিন্ডিকেটের কারনে দ্রব্য মূল্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে

সিন্ডিকেট শব্দটার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। তবে এটা আসলে কি সেই ব্যাপারে আমাদের একটা ধারণা থাকা উচিত।

কিছু কিছু মৌসুমে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় পিঁয়াজের দাম যেন না বাড়তে পারে, সেজন্য সরকার অতিরিক্ত পিঁয়াজ আমদানি করে বাজারে পিঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চায়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সেসব পিঁয়াজ গুদামে রেখে দিয়ে বাজারে পিঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। যারফলে পিঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। আর যখনই পিঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, তখন ব্যবসায়ীরা সেই গুদামে মজুদ করে রাখা অতিরিক্ত পিঁয়াজ বেশি দামে বাজারে ছাড়ে। আর এই ঘটনাটা হলো এক প্রকারের সিন্ডিকেটের উদাহরণ।

আসলে ব্যবসার ক্ষেত্রে যারা সিন্ডিকেট করে, তারা মূলত পরোক্ষভাবে জিম্মি করছে। এখন প্রশ্ন হলো যে, শুধুই কি এসব ব্যবসাতেই সিন্ডিকেটের সমস্যা আছে নাকি অন্য ক্ষেত্রেও এরকম সমস্যা আছে? ইদের সময় বাসের টিকিট এর ক্ষেত্রেও এরকম ঝামেলা হয়। টিকিট থাকা সত্ত্বেও টিকিট নেই এরকম অজুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার জন্যও কিন্তু সিন্ডিকেট করে।

সিন্ডিকেটের ফলে মূলত পাইকারি ব্যবসায়ীরা, মধ্যস্থতাকারীরা এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়। আমাদের দেশে বেশিরভাগ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত কিছু অসাধু পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। এরফলে মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ জনগণ।