বেবিচক এর অনুমতিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু

আজ শনিবার (১ মে) থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে ৩৮টি দেশে যাতায়াতের উপর বিশেষ শর্ত আরোপ করা হয়েছে করোনা পরিস্থিতির কারণে।

গত শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ‘বেবিচক’ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঐ ৩৮টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব দেশ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে আগত যাত্রীদের পিসিআর ‘নেগেটিভ’ সনদ আনা সাপেক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন কঠোরভাবে পালনের জন্য বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ব্যতিক্রম হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের ৩টি দেশ। সেগুলো হলো- কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত। এই তিন দেশ থেকে আসা যাত্রীরা বর্তমানে চলমান ৩ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করবেন। এই তিন দেশ থেকে আসা যাত্রীরা পরবর্তীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বাকি ১১ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন অথবা আইসোলেশনে থাকার জন্য বিবেচিত হবেন।

এছাড়া যে ৩৮ দেশে ফ্লাইট চালুর উপর বিশেষ শর্ত আরোপ করা হয়েছে সেগুলোকে দুটি গ্রুপ (‘এ’ ও ‘বি’) তে ভাগ করা হয়েছে। ‘গ্রুপ-এ’তে রয়েছে ১২টি দেশ এবং ‘গ্রুপ-বি’তে রয়েছে ২৬টি দেশ।

‘গ্রুপ-এ’ এর ১২টি দেশ হলো- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, সাউথ আফ্রিকা এবং তিউনিসিয়া।

‘গ্রুপ-বি’ এর ২৬টি দেশ হলো- অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়ে।

‘গ্রুপ-এ’ -এর দেশগুলো থেকে কেবলমাত্র বাংলাদেশের নাগরিকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।

এসব দেশ থেকে যে কেউ বাংলাদেশে আসতে পারবেন। তবে ঢাকায় নেমে তাদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে। তবে বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন কেউ এসব দেশ থেকে আসতে পারবেন না।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পরবর্তী নির্দেশনা দেয়ার আগ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আটকে পড়া অভিবাসী যাত্রীগণ নিজ নিজ গন্তব্য বা কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

সে ক্ষেত্রে যেকোনো দেশ থেকে ফেরার পর কোনো ধরনের করোনা উপসর্গ দেখা দিলে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বা সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করতে হবে।

দেশে আসার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সকল যাত্রীদের অবশ্যই আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করে ‘নেগেটিভ’ সনদ পেতে হবে।