জমে উঠেছে সিএনজিচালকদের ব্যবসা

শিমুলিয়া ঘাটে আসা ঢাকামুখী যাত্রীদের বেশিরভাগই গণপরিবহন সংকটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে সিএনজিতে করে। শিমুলিয়া থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সদরের প্রতিটি রুটেই তিন চাকার এই যানে দুই-তিনগুণ বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

শিমুলিয়া ঘাট থেকে জনপ্রতি ঢাকার পোস্তগোলা ১৫০ টাকা, নয়াবাজার ১৫০ টাকা, সায়েদাবাদ ১৫০-১৬০ টাকা, মোহাম্মদপুর ৩০০ টাকা, মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর ১০০ টাকা ও নারায়ণগঞ্জ ১৫০ টাকা ভাড়ায় নিয়মিত যাতায়াত করা হয়। তবে বর্তমানে প্রতিটি রুটেই দুই-তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

শিমুলিয়া এক, দুই ও তিন নম্বর ফেরিঘাটের প্রতিটির সামনে সারি সারি সিএনজি নিয়ে অপেক্ষা করছেন চালকরা। বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে এসে শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি নোঙরের পর যাত্রীরা বিভিন্ন ছোট যানবাহন করেই ঢাকার গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। ছোটযানের মধ্যে ঘাটজুড়ে সিএনজিরই আধিক্য। মানুষের চাপ থাকায় ঢাকামুখী যাত্রীরা ঘাটের সীমিত সংখ্যক এসব যানবাহনে উঠে পড়ছেন। এ সুযোগে প্রতিটি সিএনজিতেই পাঁচজন, কোনোটিতে ছয়জন যাত্রীও নিতে দেখা যায়। এসব যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি একবারেই উপেক্ষা করা হচ্ছে। আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদ আনন্দ শেষে তো কর্মস্থলে ফিরতেই হবে। কাজ না করলে জীবন-জীবিকা কীভাবে চলবে? যাওয়ার সময় দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হলো। এখন আসছি। এখনো বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।’

আরেক যাত্রী বললেন, ‘১০০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে। তারপরও সবাইতো জড়োসড়ো হয়েই যাচ্ছে। করোনা তো যা হওয়ার হচ্ছেই। মানুষকে শুধু শুধু ভোগান্তিতে ফেলার কোনো মানে হয় না। এর সুযোগ নিচ্ছে গাড়ি চালকরা।’

যাত্রীদের অভিযোগ অস্বীকার করে এক সিএনজিচালক বলেন, ‘যাওয়ার সময়তো ভালোই যাত্রী পাই। আসতে হয় খালি। তাই বেশি ভাড়া না নিলে পোষায় না আমাদের।’

‘রাস্তায় তিন থেকে চার জায়গায় টাকা দেয়া লাগে। কী করুম? বেশি না নিয়া উপায় নাই বলে জানান, চালক মো. কালাম ।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ও লৌহজং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।