মাংসের বাজারে ‘লুকোচুরি’ খেলা

৮ মে বুধবার, ঢাকাঃ আজ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল এবং ঢাকা বিভাগের কার্যালয় সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী রায় পরিচালিত বাজার অভিযানে, কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা ও কালীগঞ্জে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি করায় ১১ মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।

জিঞ্জিরা এলাকায়, বাবুলের মাংসের দোকান, চাঁন মিয়ার মাংসের দোকান, করিমের মাংসের দোকান, রিপনের মাংসের দোকান, কামাল মিয়ার মাংসের দোকান, মোক্তার হোসেনের মাংসের দোকান, সাত্তারের মাংসের দোকান, মোহর আলীর মাংসের দোকান এদের সবাইকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া, একই অভিযানে কালীগঞ্জ বাজারে অবস্থিত মায়ের দোয়া মাংসের দোকান, গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী গরুর মাংসের দোকান ও বিসমিল্লাহ মাংসের দোকানকে ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে ভোক্তাকণ্ঠের সরেজমিন বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মাত্র দু’দিন (৬ মে) আগে ঢাকা দক্ষিন ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পুনঃনির্ধারিত উচ্চ মূল্যেও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছেনা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে। ভ্রাম্যমান আদালত, বিভিন্ন সংস্থার টীম আসার সংবাদে মাংস ব্যবসায়ীরা মুহূর্তেই দেশী মাংস ৫২৫ টাকা কেজি বলে হাঁক দিলেও, নজরদারি না থাকলেই তাঁরা প্রতি কেজি দেশী গরুর মাংস ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এই দৃশ্য দেখা গেছে রাজধানীর কাঁঠালবাগান, বৌবাজার, মিরপুর ৬ নম্বর সহ ছোট-বড় বিভিন্ন বাজারে। কিছুতেই যেন মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়াকে লাগাম পরানো যাচ্ছেনা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মাংস কেনাই পড়ছে বেশী দামে তাই কমে দিলে পোষাবে না। আবার অন্যদিকে মাঝারি গরু ব্যবসায়ীদের দাবী, ‘ঘাটে ঘাটে চাঁদা ও খাজনা’ দিতে হয়। এদের সবার মাঝে পিষ্ট হওয়া একমাত্র ভুক্তভোগীর নাম, ‘দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত ক্রেতা সাধারণ’।