মানচিহ্নের অবৈধ ব্যবহার, লাজ ফার্মার জরিমানা

মানসনদ বা ছাড়পত্র না থাকা এবং অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করায় রাজধানীর কলাবাগানে লাজ ফার্মার একটি শাখাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন- বিএসটিআই।

গত মঙ্গলবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিএসটিআই।

এতে বলা হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালত একনিঅনোমিকস ব্রান্ডের ‘৩৬০ ডিগ্রি’ বডি স্প্রেতে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার এবং সফট ড্রিংক পাউডার, মধু, চকলেট, বেবি পাউডার, বিস্কুট, চিপসসহ অন্যান্য পণ্যের গুণগত মানসনদ বা ছাড়পত্র না থাকায় এ জরিমানা করে।

বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা নাজ নীরা ও বেগম রাশিদা আক্তার অভিযানের নেতৃত্ব দেন। প্রসিকিউটিং অফিসার মাজহারুল ইসলাম, ফিল্ড অফিসার রাশেদ আল মামুন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে লাজ ফার্মার মহাব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, বৈধ আমদানিকারকদের কাছ থেকে পণ্য কিনে তারা বিপণন করেন। এর মধ্যে কোন আমদানিকারকের বিএসটিআই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সেটা তাদের জানা থাকার কথা নয়। তবুও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছে লাজ ফার্মা।

তিনি বলেন, “প্রায় ২০টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা পণ্য কিনি। এর মধ্যে ৪/৫টি কোম্পানির বিএসটিআই লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। আমরা সাধারণত পণ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখে তা কিনে থাকি। এখন থেকে আমদানিকারকদের লাইসেন্সের মেয়াদ ও নিয়মিত পরীক্ষা করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ওষুধধসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিপণন করে আসছে লাজ ফার্মা। ঢাকায় ৪০টিসহ সারাদেশে ৬০টি শাখা রয়েছে তাদের।