শত পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধির প্রতিবাদ যশোর চেম্বারের

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: উচ্চ মূল্যস্ফীতি জনগণের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে। এর ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলবে। সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও অনেক ব্যবসায়ী ভ্যাট দেন না। সরকার তাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করতে পারলে ভোক্তার ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না।

সোমবার দুপুরে যশোর চেম্বার অব কমার্সের কার্যালয়ে শত পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন যশোর চেম্বারের সভাপতি মিজানুর রহমান খান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান।

যশোরেও অনেক সক্ষম ব্যবসায়ী ভ্যাট দিচ্ছে না উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনের নেতারা বলেছেন, তাদের (যারা ভ্যাট দিচ্ছেন না) ভ্যাটের আওতায় এনে দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছি আমাদের ঘাড়ে ভ্যাটের বোঝা বাড়াবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ০৯ জানুয়ারি নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করায় ওষুধ, এলপিজি, রেস্তোরাঁর খাবার, মোবাইল ফোন সেবা, ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।

অভিযোগ করা হয়, ভ্যাট বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে নেওয়ার ফল। এতে দেশের অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে।

ব্যবসায়িক নেতারা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের স্থলে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনকল্যাণমুখী অর্থনীতি গড়ে তোলার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আইএমএফের শর্ত মেনে নেওয়া এবং পূর্ববর্তী সরকারের বাজেট বহাল রাখায় সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।

চলমান পরিস্থিতিতে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির কারণে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি, তাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা এ সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অর্থনৈতিক নীতির স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানান নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যুগ্ম সম্পাদক মকছেদ আলী ও এজাজ উদ্দিন টিপু এবং এস কে আজাদ।