কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি হচ্ছে কেক, চকলেট, আইসক্রিম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বস্ত্রকলের কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি খাদ্যে বাজার সয়লাব হচ্ছে। অভিযানে ধরা পড়েছে এই কারসাজি। কাপড়ে ব্যবহৃত রঙ ফুড গ্রেড বলে চকলেট, আইসক্রিম, কেক, চানাচুরসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী তৈরিতে ব্যবহারের উদ্দেশ্য বিক্রি করার অপরাধে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

রবিবার (২২ মে) ঢাকা মহানগরীর উত্তরা ও গাজীপুর জেলার টঙ্গী এলাকায় তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনাকালে এই জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল এবং মো. হাসানুজ্জামান।

জানা গেছে, সারাবিশ্বে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন কেমিক্যাল ‘ফুড গ্রেড’ খাদ্যে মেশানো হয়। কিন্তু দেশে লোকচক্ষুর আড়ালে ফুড গ্রেডের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে প্রতিনিয়তই। অসাধু ব্যক্তিরা খাদ্যসামগ্রীতে ফুড গ্রেড ব্যবহার না করে কাপড়ের রঙ মেশায়। কিছু মানুষের প্রতারণার ফলে খাবারের নামে বিষাক্ত কেমিক্যাল খাচ্ছে সাধারণ মানুষ জানান সংশ্লিষ্টরা।

মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, গাজীপুরের টঙ্গী বাজার এলাকা অভিযান পরিচালনাকালে কাপুড়ে ব্যবহৃত রং ফুড গ্রেড বলে চকলেট, আইসক্রিম, কেক, চানাচুরসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহারের উদ্দেশ্য বিক্রি করার অপরাধে মা জেনারেল স্টোরকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় কাপড়ে ব্যবহৃত নয় কেজি রঙ জব্দ করা হয়। একই এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে রিমন এন্টারপ্রাইজকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আব্দুল জব্বার মন্ডল আরও জানান, তারা যে খাদ্যপণ্যে কাপড়ের রঙ ব্যবহার করতেন সেটা নিজেরাই স্বীকার করেছেন।

এছাড়াও ঢাকা মহানগরীর উত্তরায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ করার অপরাধে ফাল্গুনী রেস্তোরাঁকে ১৫ হাজার টাকা এবং একই এলাকার আয়েশা ফার্মাকে বিদেশি ঔষধ অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করার অপরাধে পাঁচ হাজার টাকাসহ চার প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট এক লাখ ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান অধিদফতর।

আরইউ