কোরিয়ান গানের সিডি এর অর্ডার নিয়ে লাপাত্তা কে-ম্যাডনেস বিডি

কোরিয়ার পপ গানে মজে থাকে বাঙালির নতুন প্রজন্ম। আর এই বিষয়টিকেই পুঁজি করে K-Madness BD নামের একটি ফেসবুক পেজ প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

হালের ট্রেন্ড কে-পপ, পপ মিউজিকে বর্তমান বিশ্বে গানের যে ধারাটি দ্রুত জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থানটি দখল করে নিয়েছে সেটি হল কে-পপ বা কোরিয়ান পপ মিউজিক। কে-পপ এখন শুধু কোরিয়াতেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়াসহ পুরো বিশ্বে। আর এর জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে ভিন্নধারার মিউজিক, পোশাক-পরিচ্ছদ আর চমকপ্রদ সব মিউজিক ভিডিও।

সেজন্যই এই জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলির গান শোনার জন্য অনেকেই কোরিয়া থেকে সিডি অর্ডার করার ব্যবস্থা করে থাকেন। আর ঠিক তেমনি K-Madness BD কিছু কোরিয়ান ব্যান্ড ভক্তদের কোরিয়া থেকে সিডি এনে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন, কিন্তু এক বছর অতিক্রম হওয়ার পরেও তারা সিডি এনে দিতে না পারায় তাদের নিয়ে ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে কয়েকজন অভিযোগ করে থাকেন।

সাভারের সুমাইয়া ইসলাম, ঢাকার ফাতেমা-তুজ-জোহরা, ঢাকার ফাতেমা জান্নাত মিম এবং ঢাকার আইরিন জামান কিছুদিন আগে ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে তাদের এই ভোগান্তির কথা শেয়ার করেন। যেখানে চারজনই উল্লেখ করেন সিডি এনে দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হওয়ার পরেও K-Madness BD শুধু সময় বাড়িয়ে নিয়েছেন।

সুমাইয়া ইসলাম তার অভিযোগে বর্ণনায় বলেন, “আমি গত ৪th Jan 2020 তারিখে K-madness BD নামের ফেসবুক পেইজে সাউথ কোরিয়া থেকে গানের album এনে দেওয়ার জন্য বিকাশে 600 টাকা প্রদান করি। উক্ত প্রােডাক্ট মার্চ মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে পৌঁছানাের কথা থাকলেও কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিকের লকডাউনের কথা বলে পেইজের মালিক বিলম্ব হওয়ার কথা জানান। এরপর অনেকবার উনাকে পেইজে মেসেজ দেওয়া হলেও একবারও কোন ধরনের উত্তর দেননি কিন্তু পেইজে আরাে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে পােস্ট করেন আলাদা আলাদা সময়ে।”

ফাতেমা-তুজ-জোহরা এবং ফাতেমা জান্নাত মিম উভয়ই উল্লেখ করেন তাদের অভিযোগে, “আমার টাকা ফেরত দিয়ে দিবে এই প্রতিশ্রুতি দিলেও আবার কোন ধরনের উত্তর পাওয়া যায়নি তাদের কাছ থেকে। ”

“গত দেড় বছরে আমার মত আরো ১০০ এর উপর মানুষে একইভাবে এই পেজ এর কাছ থেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন”

আইরিন জামান তার অভিযোগে বর্ণনা করেন,

তাদের চার জনের অভিযোগগুলি এখনো নিষ্পত্তি এর পর্যায় রয়েছে। এসব ফেসবুক পেজ অথবা অনলাইন সাইট এর বেশিরভাগেরই ঠিকানা থাকে না। ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ এর অনুযায়ী ঠিকানাবিহীন ফেসবুক পেজের কোন অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়না।

অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে যেই বিষয়গুলি লক্ষ রাখা জরুরি তা জানতে পড়ুন : ভয়ঙ্কর প্রতারণায় মেতে উঠেছে প্রিয়শপ – VoktaKantho.com
আরো পড়ুন :নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে রাখায় ‘সপ্নের’ বিরুদ্ধে অভিযোগ – VoktaKantho.com