বইয়ের ভেতর অন্য বই

যেই বইটি অর্ডার করা হয়েছে তার কভার ঠিক থাকলেও ভেতরে ছিল প্রিন্ট করা অন্য বই, তেমনটিই অভিযোগ করেছেন মৌলভীবাজারের মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।

অভিযোগকৃত ফেসবুক পেজটির নাম ‘The Bookshelf’ , খুব কম সময়ে এই পেজটি ভালোই নাম কামিয়েছে। বর্তমান সময়ের এই প্যান্ডেমিকে ঘরে বসে বই অর্ডার করাটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয় কিন্তু বই অর্ডার করে যদি কাঙ্ক্ষিত বই না পাওয়া যায় তখন সেই বিষয়টা একজন পাঠকের কাছে খুবই বেদনাদায়ক এবং বিরক্তির।

কামরুল ইসলাম এরকম প্রতারণার শিকার হওয়ার পরে তিনি ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করেন। তিনি তার অভিযোগে বলেন, “আমি গত ৩০ এপ্রিল দুইটি বই ক্রয় করে বিকাশে টাকা পেমেন্ট করি তাদের ওয়েবসাইটে (https://thebookshelfbd.com/)। বই দুই তিনদিনের মধ্যে চলে আসার কথা কিন্তু ২/৩ দিন পর আমি যখন বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করি তখন বলে এটা পাঠাতে দেরি হবে দশ দিন। আমি তাদের টাকা রিফান্ড করতে বললে তারা রিফান্ড করবেনা বলে জানায়। এরপর আমি ১০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করে আবার মেসেজ দিলে বলে ঈদের পরে। এর পর ২১ তারিখ মূল অর্ডারের ২২ দিন পরে আমি আবার নক দিলে তারা রিপ্লাই দেয় অনেক দেরিতে এবং বলে কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি কুরিয়ারে গিয়ে নিজে কম্পিউটার চেক করে দেখি আমার নামে ঢাকায়ই কোন এন্ট্রি নেই।”

তিনি আরো বলেন, “মেসেঞ্জারে তাদের ভোক্তা অধিকারের কথা বলার পর গত ২৪ মে বইগুলো মৌলভীবাজার পাঠায়। আমি ইতােমধ্যে সিলেট চলে আসায় গতকাল ২৬ মে আমার হাতে বই এসে পৌছায়। বই খুলে দেখি যে যে দুটি বই আমি অর্ডার করেছি তার একটির (Exploring Quran, Contextt and Impact by Muhammad Abdel Haleem) কাভার ঠিক আছে কিন্তু ভিতরে অন্য বই। মানে আমি যে বই অর্ডার করেছি তারা কাভারের ভিতর তারা অন্য বই প্রিন্ট করে দিয়েছে। তাদের আমি মেসেঞ্জারে মেসেজ দেয়ার পরেও রিপ্লাই করে না। তারা ফোনও ধরে না।”

কামাল হাসানের করা অভিযোগটির নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। ভােক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে পণ্যে ভেজাল বা নকল পণ্য উৎপাদন বা বিক্রি করলে কিংবা বিক্রির সময় ওজন বা মাপে কারচুপি করলে এক থেকে তিন বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

আরও পড়ুন : দক্ষ প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠান ফাল্গুনী শপ - VoktaKantho.com