মসুর ডাল: সকালে ১২০ দুপুরে ১২৮, হাতেনাতে ধরলেন ভোক্তা অধিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সকালে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল পাইকারী বিক্রি করেছে ১২০ টাকা। দাম বৃদ্ধির খবর শুনে মজুতে থাকা সেই ডাল প্রতি কেজিতে ৮টাকা বাড়িয়ে ১২৮ টাকা দরে পাইকারী বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ী। তবে খুব বেশি সময় ভোক্তাদের পকেট কাটতে পারেনি এই ব্যবসায়ী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেই পাইকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার রাজধানীর মিরপুর ১নং এলাকায় শাহ আলী মার্কেটের পাশে পাইকারী বাজারে অভিযান চালানো হয়। এসময় বিথি এন্টার প্রাইজে গেলে মসুর ডাল, আটা-ময়দা বেশি দামে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় যায়।

সেখানে দেখা যায়, ক্রেতাদের জন্য দৃশ্যমান মূল্য তালিকায় যে দাম লেখা রয়েছে তার থেকে বেশি দামে মসুর ডাল এবং আটা-ময়দা বিক্রি করছেন। ক্রেতাদের দেওয়া ভাউচার দেখে এ বিষয়ে নিশ্চিত হোন ভোক্তা কর্মকর্তারা।

পরে দাম বেশি নেয়া, দৃশ্যমান মূল্য তালিকার সঙ্গে ক্রেতাদের দেওয়া ভাইচারে লেখা দামের তারতম্য থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে বিথি এন্টার প্রাইজের মালিক বলেন, আমি লোভে পড়ে ভুল করেছি। দাম বেশি নেওয়াটা আমার ভুল হয়েছে। পরবর্তীতে এমন ভুল আর করবো না। সতর্ক থাকবো।

পাশের জসিম এন্ড ব্রাদার্সও একই রকমের ভুল করেছে। এই পাইকারী ব্যবসায়ীও সকালে ১২৫ টাকা কেজিতে মসুর ডাল বিক্রি করেছে। দাম বৃদ্ধির খবর শুনে দুপুরে তিন টাকা বাড়িয়ে ১২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করেন। এই ব্যবসায়ীকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানের বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, ঢাকা জেলা অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ভোক্তাকণ্ঠকে বলেন, সকালে যে মসুর ডাল ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছে দাম বৃদ্ধি পাবে খবর শুনেই প্রতি কেজিতে ৮ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। পরে আমরা সেই দোকানে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। একই অপরাধে আরেকটি দোকানকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের এমন অভিযান অব্যহত থাকবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা কোনভাবেই ছাড় পাবে না। সকল ব্যবসায়ীকেই সতর্ক করেছি, ভোক্তা আইন মেনে ব্যবসা করার জন্য। আইন না মানলে শাস্তির আওতায় আসতে হবে।

প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম এই অভিযানে সঙ্গে ছিলেন।

আরইউ