রপ্তানি আয়ে মে মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬.৬১ শতাংশ

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: বাংলাদেশের তৈরি পণ্য মে মাসে বিশ্ব বাজারে রপ্তানি হয়েছে চার হাজার ৮৪৯ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। মে মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০১৯ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার বেশি রপ্তানি হয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল তিন হাজার ৮৩০ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।

রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মে মাসে রপ্তানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা পূরণ হয়নি। মে মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ১২০ মিলিয়ন ডলার। আর রপ্তানি আয় হয়েছে চার হাজার ৮৪৯ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ পরিকল্পনা অনুসারে মে মাসে ১২০ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় কম হয়েছে।

এর আগের মাস এপ্রিলে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। রপ্তানি আয় হয়েছে তিন হাজার ৯৫৬ মিলিয়ন বা ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ইউএস ডলার। আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল চার হাজার ৭৩৮ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। অর্থাৎ ৭৮২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার কম পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। শতাংশের হিসাবে যা ১৬.৫২ শতাংশ কম।

তার আগের মাস মার্চে রপ্তানি আয় ছিল ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ইউএস ডলার। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ইউএস ডলার। অর্থাৎ ১১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিমাণ কম পণ্য রপ্তানি হয়েছিল মার্চে।

তবে ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় ছিল ইতিবাচক ধারায়। ওই মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৪৬৩ কোটি এক লাখ ইউএস ডলারের পণ্য। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছিল ২৯ কোটি ৪৫ লাখ ইউএস ডলার।

আর নতুন বছরের শুরুতে অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে পাঁচ হাজার ১৩৬ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। আগের বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল চার হাজার ৮৫০ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। রপ্তানি বেড়েছিল ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

রপ্তানি বাড়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। তাতে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ২০২২ থেকে মে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১১ মাসে বিশ্ব বাজারে মোট ৫০ হাজার ৫২৭ দশমিক ২৪ অর্থাৎ পাঁচ হাজার ৫২ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ইউএস ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল চার হাজার ৭১৭ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার বা চার হাজার ৭১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।

কিন্তু এ সময়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৪৫৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার বা ছয় হাজার ২৪৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির। সেই হিসাবে অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ পিছিয়ে আছে। অর্থাৎ এক হাজার ৯০৬ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ পণ্য বিশ্ববাজারে কম রপ্তানি হয়েছে।