২০২১ সালের মেয়াদোত্তীর্ণ ইনসুলিনও রয়েছে বিক্রির অপেক্ষায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডায়াবেটিস মেলাইটাসে ব্যবহৃত ইনসুলিনের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়েছে। তারপরও বিক্রির জন্য ফার্মেসীতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। শুধু ইনসুলিনই নয়, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও বিক্রির জন্য সংরক্ষণে রাখা হয়েছে।

এক পাশে বারডেম হাসপাতাল অন্য পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল। এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ ইনসুলিন ও ওষধের ব্যবসা করে আসছিলেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে শাহবাগ এলাকায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল, সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার এবং শরীফুল ইসলাম।

অভিযানে ‘রাজশাহী ফার্মেসী’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে তদারকি করলে, সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনসুলিন এবং ওষুধ পাওয়া যায়। এছাড়া চিকিৎসকদের দেওয়া স্যাম্পল ওষুধও বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করতে দেখা যায়।

এসব অপরাধে ফার্মেসীকে জরিমানা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এছাড়া, তাকওয়া ফার্মেসী নামের আরও একটি প্রতিষ্ঠানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় সেখানেও জরিমানা করা হয়।

অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জরুরী মুহুর্তে যে ইনসুলিন দেওয়া হয়, এর মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালে। তারপরেও দোকানে বিক্রির জন্য রেখেছেন। এছাড়া বিপুল পরিমাণ অধিদপ্তরের ওষুধ পাওয়ায় রাজশাহী ফার্মেসীকে ৫০ হাজার টাকা, তাকওয়া ফার্মেসীকে ৩০ হাজার টাকা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় একটি মুদি দোকানকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

-আরইউ/এমএ