টিকার জন্য ঘুরছেন মৃত আনোয়ার

জীবিত থেকেও মৃত তিনি! শুনতে অবাক লাগলেও ঝিনাইদহে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা। নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজের তথ্যে ৩ বছর আগে থেকেই মৃত দেখানো হয় কাঞ্চন নগরের বাসিন্দা এস এম আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে। নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে সশরীরে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সুরাহা পাচ্ছেন না তিনি। এ কারণে করোনা টিকার নিবন্ধনও করতে পারছেন না এ ব্যক্তি।

ঝিনাইদহ পৌরসভার কাঞ্চন নগর গ্রামের বাসিন্দা এসএম আনোয়ার হোসেন। পেশায় ঠিকাদার। করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। বারবার চেষ্টা করেও সুযোগ না পেয়ে তিনি যান জেলা নির্বাচন অফিসে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তিন বছর আগেই মৃতের তালিকায় নাম উঠেছে তার।


এস এম আনোয়ার হোসেন বলেন, তিন বছর আগে আমি মারা গেছি জাতীয় পরিচয়পত্রে। শুধু আমি না আমার পরিবার হয়রানির মধ্যে আছে। আমার যদি এখন কোনো অসুখও হয় তাহলে আমি কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারব না।
নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ঘুরছেন নির্বাচন কমিশন, কাউন্সিলর কার্যালয়সহ নানা স্থানে। বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হওয়ায় দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান স্বজনরা।


এস এম আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী জানান, টিকা কার্ড করতে গিয়ে নানা কথার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।
এস এম আনোয়ার হোসেনের মেয়ে বলেন, আমাদের পুরো পরিবারের ওপর একটা চাপ পড়েছে বাবার এনআইডি কার্ডে মৃত কথা আসা নিয়ে।


এলাকাবাসী জানান, এস এম আনোয়ার হোসেনের আরেক ভাই মারা গেছেন, সে তো বেঁচে আছে। সরকারি কোনো অফিসের কোনো কাজ সে করতে পারছে না।

এদিকে তালিকায় এ ধরনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কোনো সদুত্তর নেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে।