দেশি অ্যাপভিত্তিক কলিং সার্ভিসের কলরেট কমছে..

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:

দেশীয় অ্যাপভিত্তিক কলিং সার্ভিসের কলরেট বাড়ানোয় (৩০ থেকে ৪০ পয়সা) মোট কল কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আয়ে। সরকার মনে করছে কলরেট কিছুটা কমিয়ে ৩৫ পয়সা করা হলে কলের সংখ্যা বাড়বে। এতে শুরুর দিকে রাজস্ব আয় কম হলেও পরে তা গ্রাহক বাড়াতে সহায়ক হবে।

বিষয়টির সুরাহা করতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। কলরেট পুনরায় বিবেচনার জন্য কল ভলিউম এবং আনুষাঙ্গিক বিষয় পর্যালোচনা করবে ওই কমিটি। ৫ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির প্রধান হলেন কমিশনের সিস্টেম ও সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।

দেশীয় অ্যাপভিত্তিক কলিং সার্ভিস চালু রয়েছে ৪টি। এরমধ্যে সরকারি একটি—বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ‘আলাপ’। অপর তিনটি হলো ইন্টারক্লাউডের ব্রিলিয়ান্ট, আম্বার আইটি ও লিংক থ্রি। এ খাতে আরও কয়েকটি আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) আইপি-টিএসপি লাইসেন্স নিলেও প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও তাদের সেবা চালু করতে পারেনি।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে বিটিআরসিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ করা হয় ওই বছরের ৭ মে থেকে দেশীয় অ্যাপভিত্তিক কলিং সার্ভিসের ভয়েস সেবার মূল্য প্রতি মিনিটে ৩০ থেকে ৪০ পয়সা করায় কল ভলিউম কমেছে। এরই প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি ও বিটিসিএল ওই সেবার মূল্য পুনঃবিবেচনার অনুরোধ করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়।

বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে দেশীয় অ্যাপভিত্তিক কলিং সার্ভিসের কলরেট ৪০ থেকে কমিয়ে ৩৫ পয়সা করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, কলরেট ৪০ পয়সা করায় মাসিক গড় কল ভলিউম ৫০ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন থেকে কমে ৩৩ দশমিক ৩২ মিলিয়ন হয়েছে। কলরেট ৩৫ পয়সা/মিনিট করা হলে ভলিউম বেড়ে ৪১ দশমিক মিলিয়ন হতে পারে।

জানা গেছে, এখন কলের ক্ষেত্রে খরচ হয় ২৩ পয়সা করে (এমটিআর ১০ পয়সা, আইসিএক্স চার্জ ৪, সিস্টেমের খরচ ৯ পয়সা)। কলরেট ৩০ পয়সা হলে লাভ থাকে ৭ পয়সা ও ৩৫ পয়সা হলে লাভ ১২ পয়সা। কলরেট ৪০ পয়সা হলেও খরচ একই থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন বলেন, যখন কলরেট ৩০ পয়সা ছিল, তখন প্রতিদিন কলমিনিট ১২ লাখে উঠে গিয়েছিল। এখন দিনে কল মিনিটের হার সাড়ে তিন লাখের মতো। তিনি মনে করেন, কলরেট কমানো হলে কল মিনিটের সংখ্যা বাড়বে। রাজস্বও বাড়বে।

তিনি আরও জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলাপ অ্যাপের ব্যবহারকারী ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩৭ জন।