বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে অ্যাপেক্স ফুডস

গেলো সপ্তাহ দরপতনের মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার।  গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দের শীর্ষে ছিল কোম্পানিটির শেয়ার। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার।

গেলো সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৫৪ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৩২ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১৭৭ টাকা ৮০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ, ২০১৯, ২০১৮,২০১৭,২০১৬ ও ২০১৫ সালে ২০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলমান হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) কোম্পানি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১ টাকা ১০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৭০ পয়সা।

মাত্র ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৭ লাখ ২ হাজার ৪০০টি। এই শেয়ারের মধ্যে ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।

এদিকে শেয়ার দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা।

গেলো সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর পরের স্থানটিতে রয়েছে স্টাইলক্রাফট। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।

এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বাংলাদেশ ল্যাম্পের ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ, সমরিতা হাসপাতালের ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ, অ্যাপেক্স টেনারির ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, ইমাম বাটনের ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং রহিম টেক্সটাইলের ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ দাম বেড়েছে।