সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এরপরও দুই বাজারেই প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

মূল্যসূচক বাড়লেও প্রধান শেয়ারাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রায় সাড়ে তিন ডজন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। লেনদেনের প্রায় পুরো সময় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য অবস্থায় থাকে। এতে দিনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর লেনদেনের ১৮ মিনিটের মথায় সূচকটি বাড়ে ৩০ পয়েন্ট। এসময় দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় ৬০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান।

শুরুতে এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও লেনদেনের এক ঘণ্টা ১৯ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অবশ্য অল্প সময়ের মধ্যে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। এরপর লেনদেনের পুরো সময় সূচক ধনাত্মক থাকলেও পতনের তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭২টির। আর ৫২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তিনটির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে ৩৯টির দাম দিনের সর্বনিম্ন পরিমাণ কমেছে।

বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পরও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক শূন্য দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও বাজারটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮১৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শাইনপুকুর সিরামিকসের ২৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, ফু-ওয়াং ফুড, ওরিয়ন ফার্মা, আরএকে সিরামিক, ইনট্রাকো, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং একমি পেস্টিসাইড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৩৮ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ৪৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।