সড়ক দখল করে যাত্রী তুলছে বাস, যানজটে দুর্ভোগে যাত্রীরা

সড়ক দখল করে যাত্রী তুলছে বাস, যানজটে দুর্ভোগে যাত্রীরা

সাভার জেলা প্রতিনিধি,

সাভারের আশুলিয়ায় মহাসড়কে পার্কিং করে দুই লেনের অর্ধেক সড়ক দখল করে যাত্রী তুলছে লোকাস বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ঈদযাত্রা করা ঘরমুখী মানুষ।

রোববার (১ মে) সকাল ৭টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে দেখা যায়, আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে বলিভদ্রবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার মহাসড়কে পার্কিং করে রাখা হয়েছে। ফলে প্রধান লেনের অর্ধেক সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অন্য যানবাহন।

বগুড়ামুখী হৃদয় পরিবহনের যাত্রী আরাফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নিয়মিত ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে পড়ি। এর জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়ী কিছু বাসচালক। আমরা পল্লী বিদ্যুৎ বাসস্ট্যান্ড থেকে বলিভদ্রবাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসলাম এক লেনের অর্ধেক সড়ক দিয়ে। প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক দখল করে পার্কিং করা হয়েছে। এতে অন্য বাসের চালকরা ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করছেন।

অপর যাত্রী শাহীন বলেন, আসলে যত প্রশস্ত সড়ক আমাদের রয়েছে, এতে যানজট হওয়ার কথা না। কিন্তু আমরা যানজটে পড়ি সড়ক দখল করার কারণে। সড়ক সংস্কার আর লেন বৃদ্ধি না করলে যানজট ঠেকানো সম্ভব না। যানজট নিরসনে প্রয়োগ করা উচিত সকল ট্রাফিক আইন। তাহলেই যানজট কমবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পলাশবাড়ী থেকে বাইপালে খুব কষ্ট করে আসলাম। পার্কিংয়ের কারণে মহাসড়ক আঞ্চলিক সড়কে পরিণত হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

পার্কিং করা সোনালী পরিবহনের চালক বলেন, আমরা ২০ মিনিট পরেই যাত্রী নিয়ে চলে যাব। আর যাওয়ার সড়ক তো আমরা ফাঁকা রেখেছি। এই ফাঁকা সড়ক দিয়ে বাস অনায়াসে যেতে পারবে। আমাদের গাড়িতে অর্ধেক যাত্রী হয়েছে। গাড়ি ভরলেই ছেড়ে দেব।

সিফাত পরিবহনের চালক বলেন, আমরা তো এখানে স্ট্যান্ড বানাইনি। আমরা যাত্রী নেওয়ার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি। আর আমাদের দোষ কোথায়? সামনে থেকেই তো এভাবে পার্কিং করা। আমরা চাইলেও তো এখন বের হতে পারব না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (ডিউটি অফিসার) মোস্তফা বলেন, আমরা গতকাল র‌্যাকার দিয়ে এসব যানবাহন জব্দ করেছি। আজও র‌্যাকার যাবে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করে চলেছি। তবে দু-একটা গাড়িতে র‌্যাকার লাগানো হলে একটি গাড়িও থাকে না।

তিনি আরও বলেন, যখন আমরা চলে আসি, সঙ্গে সঙ্গে আবার তারা পার্কিং করে। এক স্থানে থাকাটাও তো সম্ভব নয়। সড়কের সব স্থানে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।