ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানা এলাকায় কর্ণফুলী চা ঘর ও হক টি হাউজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছেন চা বোর্ডের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন। বৃহস্পতিবার ওই প্রতিষ্ঠান দুটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রমাণ মেলে।
চা বোর্ড জানায়, অভিযানে কর্ণফুলী চা ঘরে সরকারি চা বোর্ডের লোগো ব্যবহার, প্যাকেটে উৎপাদনের অগ্রিম তারিখ লেখার মতো গুরুতর অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব অভিযোগে আগামী রোববার প্রতিষ্ঠানটিকে চা বোর্ডে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া চা বোর্ডের ব্লেন্ডার লাইসেন্স না থাকা, চা ক্রয়ের যথাযথ ডকুমেন্ট না থাকা, অনুমোদনহীন ব্র্যান্ড ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠানটির ৩০ বস্তা লেভেলবিহীন চা এবং ৫২টি প্যাকেজিং রোল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চা বোর্ডের ব্লেন্ডার ও বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকা এবং প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ব্যবহার না করেই চা প্যাকেট করে বিক্রির দায়ে হক টি হাউজ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চা বোর্ডের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটি নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভোক্তাদের প্রতারিত করে আসছিল। চায়ের এসব অবৈধ ব্যবসা ও প্রতারণা বন্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে চা বোর্ডের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল বোরহান, ফটোগ্রাফার শাহ আকিব মর্তুজা ও সদরঘাট থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।