ওমিক্রন ঠেকাতে যথেষ্ট নয় টিকার দুই ডোজ : গবেষণা

ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: যে কোনো করোনা টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করার পর মানবদেহে যে প্রতিরোধী শক্তি তৈরি হয়, তা মূল করোনাভাইরাস বা তার অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর হলেও ওমিক্রনকে ঠেকাতে এটি যথেষ্ট নয়।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। দেশ বেশ কয়েকজন মানুষের রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

যাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তারা সবাই টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন। কেউ নিয়েছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুই ডোজ, কেউ ফাইজার-বায়োএনটেকের দুই ডোজ; আবার কেউ বা নিয়েছেন মিশ্র টিকা, অর্থাৎ প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও দ্বিতীয় ডোজে ফাইজার।

তবে সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলেও টিকার দুই ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থতা বা হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি নেই বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ ইউকে হেলথ এজেন্সি (ইউকেএইচএ) এক বিবৃতিতে উল্লেখ করে, টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তারপর রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ওমিক্রনের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে দুই ডোজ টিকা যথেষ্ট কার্যকর নাও হতে পারে।

তার একদিন পরই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। অবশ্য প্রতিবেদনটির পিআর রিভিয়্যু এখনও হয়নি।

তবে এই প্রতিবেদনটি যে পূর্ণাঙ্গ নয়, তা স্বীকার করেছেন খোদ গবেষকরাই। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওই এই গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক ম্যাথিউ স্ন্যাপ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এসব তথ্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এগুলো গোটা চিত্রের একটি খণ্ডাংশ মাত্র। এখানে কেবল টিকার ডোজের কার্যকারিতার সম্পর্কে বলা হয়েছে। মানুষের নিজস্ব যে প্রতিরোধী শক্তি, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।’

‘এটি (মানুষের নিজস্ব প্রতিরোধ শক্তি) খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সবার প্রতিরোধ শক্তি একই পর্যায়ের থাকে না।’